ভারত থেকে ইংল্যান্ড পৌঁছলেন ৮ ক্রিকেটার
আইপিএল স্থগিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেশে ফিরলেন ভারতে টুর্নামেন্ট খেলতে আসা ৮ জন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার। জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম বিলিংস, ক্রিস ওকস, মইন আলি, জেসন রয়, স্যাম কারান এবং টম কারান বুধবার সকালে বিশেষ বিমানে লন্ডনে পৌঁছেছেন বলে জানানো হয়েছে। এও বলা হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত ভারত ছাড়েননি ভারতে আইপিএল খেলতে আসা ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান, ক্রিস জর্ডন ও ডেভিড মালান। তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে ইংল্যান্ড সরকার।
ছবি সৌজন্যে : বিসিসিআই/আইপিএল
১০ দিনের আইসোলেশন
ভারত থেকে দেশে ফিরলেও এখনই পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবেন না ইংল্যান্ডের আট ক্রিকেটার। আপাতত জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টোদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেই বিধির মেয়াদ শেষের পর কোভিড ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই বাড়ি ফিরতে পারবেন ভারত থেকে ফেরা ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা।
ছবি সৌজন্যে : বিসিসিআই/আইপিএল
মালদ্বীপ বা শ্রীলঙ্কায় উড়ে যাবেন অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটাররা
ভারত থেকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া উড়ে যেতে পারবেন না আইপিএলে খেলতে আসা সে দেশের ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা। ফলে তাঁদের দেশে ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে যে আইপিএল স্থগিত হওয়া অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটারদের প্রথমে মালদ্বীপ বা শ্রীলঙ্কা পাঠানো হবে। সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে কাটিয়ে তবেই অস্ট্রেলিয়া ফিরতে পারবেন স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, রিকি পন্টিংরা। তার আগে অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট তারকাদের কোভিড ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ও মালদ্বীপ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, আইপিএল ফেরত অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটারদের জন্য চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করতে পারে বিসিসিআই।
উদ্যোগী বিসিসিআই
করোনা ভাইরাসের আবহে সুষ্টুভাবে আইপিএল আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিসিসিআই। ভারতে টুর্নামেন্ট খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাদের নিরাপদে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবির। কিন্তু অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই মুহুর্তে সেই পদক্ষেপ করা সম্ভব ছিল না। কারণ অস্ট্রেলিয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, অতিমারীর কঠিন পরিস্থিতি যে ভারত থেকে তাদের দেশে প্রবেশ করবেন, তাঁদের কমপক্ষে পাঁচ বছরের জেল হবে। এহেন পরিস্থিতিতে স্কট মরিসন সরকার ও অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে দরবার করেছিল বিসিসিআই। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও দুই থেকে তিন দন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।