কলকাতা: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার বিকেলে নবান্ন থেকে বেড়িয়ে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে যান তিনি৷ তাঁর কাছে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে একাধিক অভিযোগও জানান অনেকে। দ্রুত কীভাবে রিপোর্ট দেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। শম্ভুনাথ পন্ডিত থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ হাসপাতালে যান। এদিনই এই দুই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হল৷

আরও পড়ুন: ‘খতম, টাটা, বাই-বাই’, আইপিএল নিয়ে রিয়ান পরাগের টুইটে ছেয়ে গেল মিম-দুনিয়া

ফিরল ২০১১ সালের স্মৃতি। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েই  বিভিন্ন হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হাসপাতালগুলিতে রোগীরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের দেখা গেল একই দৃশ্য। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই শহরের একাধিক হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরলেন তিনি। এদিন প্রথমেই যান ভবানীপুরের শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জেলার হাসপাতালগুলিতেও কোভিড বেড আরও বাড়ানো হবে৷ এরপর তিনি যান পুলিশ হাসপাতালে। করোনা কালে চিকিৎসায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তা-ই নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ মমতার।

আরও পড়ুন: আগামী দিনে দ্বিগুণ হতে পারে মৃত্যুহার, ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা

রাজ্যের করোনা (Covid) রোগীদের জন্য বেডের সংকট মেটাতে এদিন উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই মুহূর্তে রাজ্যে ২৭ হাজার কোভিড বেড রয়েছে। আরও তিন হাজার বেড বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বেড ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৮৭ হাজার বেড রয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে আরও তিন হাজার বেড বাড়ানো হবে। ৯০ হাজার বেড রাখা হচ্ছে।’  নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোর ভারতীর পর এবার সল্টলেক স্টেডিয়ামকে কোভিড হাসপাতাল করা হল। সল্টলেক আমরি হাসপাতালের সহায়তায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে তৈরি হল ২২৩ বেডের কোভিড হাসপাতাল। এর মধ্যে রয়েছে ২১০টি জেনারেল বেড এবং ১৪টি ডরমেটরি। প্রতিটিতে ১৫টি করে বেড থাকছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সেগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.