রবিবার রবীন্দ্রসদনে হতে পারে শপথগ্রহণ
করোনা পরিস্থিতিতে খুব ছোট করেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ৫০ জনের আমন্ত্রিত ছিল সেখানে। প্রথম দফায় শুধু তাঁরই শপথ নেওয়ার কথা ছিল। জানা যাচ্ছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাকি মন্ত্রিসভার শপথ হতে পারে রবিবার, ৯ মে। আর তা হতে পারে রবীন্দ্রসদনের বাইরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান সেখানেই মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ করতে। কারন সেদিন রবীন্দ্র জয়ন্তী। খুব একটা বড় করে হবে না। ছোট করেই অনুষ্ঠান হবে। বাংলায় এসে বারবার বিজেপি তৃণমূলের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কু ভাষায় আক্রামণ শানিয়েছেন। আর তাই মমতা চান ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রবীন্দ্র সদনেই শপথ হোক। সংস্কৃতি নিয়ে বিজেপিকে এভাবেই যোগ্য জবাব দিতে চান তিনি।
৬ ও ৭ মে নব-নির্বাচিতদের বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ
আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, ৬ এবং ৭ মে নব-নির্বাচিতদের বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ হবে। বিধানসভায় এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। প্রটেম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই শপথগ্রহণ পাঠ করাবেন বলে জানা যাচ্ছে।
মন্ত্রীদের নাম নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি
সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই তিনি প্রথামাফিক দ্বিতীয় দফার সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যপালের হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সেই সময় নতুন সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি। সেই সময় সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি মমতা। ফলে কোনও তালিকা এখনও দেওয়া হয়নি রাজভবনে। তবে যত দূর খবর, গত সরকারের উল্লেখযোগ্য বড় মাপের যে সব মন্ত্রী জিতেছেন তাঁদের সকলকেই রাখা হবে। মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। আর তরুণ বিধায়কদের জায়গা হতে পারে নতুন মন্ত্রিসভায়। এমনকি বেশ কয়েকজন তারকাকেও মন্ত্রী হিসাবেও দেখা যেতে পারে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ‘‘বিধায়ক পদে শপথ হওয়ার পরে মমতা তালিকা চূড়ান্ত করবেন।''
'নয়া বিধায়ক পরিবার'-এর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় এবার ছিল নবীন ও প্রবীণের মেলবন্ধন। ভোটে ভালো ফল করার পর তাঁদের সকলেই উচ্ছ্বসিত। ইতিমধ্যে কালীঘাটে নব নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কথা জানালেন অনেকেই। কেউ ৫০ বছর ধরে ভোটে লড়ছেন, কারো কারো এটাই প্রথমবার। কেউ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিটাই করছেন। কেউ আবার নিজ নিজ ক্ষেত্রে তারকা। তবে মমতা সবাইকে জানিয়েছেন, এলাকায় ভালোভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করতে হবে। তবে করোনা অবস্থায় অবশ্যই সবাইকে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা।