লাভ কিংবা হৃদয় আকৃতিকে আমরা সাধারণভাবে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেই জানি। ভালোবাসার জন্য কেউ রক্ত ঝরিয়েছেন।

তো কেউ আবার তাজমহল বানিয়ে সেই ভালোবাসাকে বুকের মধ্যে ধরে রেখেছেন। বিশ্বের এই এক জায়গায় ধু ধু মরুভূমির মাঝে হৃদয় আকৃতির দুটি বইতে থাকা হ্রদ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে তাদের সৃষ্টিতে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে ধু-ধু মরুভূমির মাঝে এই ‘লাভ লেক’ বয়ে চলেছে। চারপাশে সবুজ গাছপালায় ঘেরা এই লাভ লেকের সৌন্দর্য অবাক করে দেবে। লেকের পাশেই গাছের সারি দিয়ে লেখা আছে ‘লাভ’।

দুবাইয়ের রাজকুমার শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ তার ইনস্টাগ্রামে কৃত্রিম হ্রদের এই ছবিটি শেয়ার করেছিলেন। এরপরই বিশ্ব চিনেছে স্থানটিকে।

আরো পোস্ট-  করোনা থেকে আরোগ্যের সময়ে এগুলি খাবেন না

স্থানটির নাম আল কুদ্রা। দুবাইয়ের আল কুদ্রা মরুদ্যানে আপনি দেখতে পাবেন প্রবাহমান লাভ লেকটিকে।

৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে দুটি কৃত্রিম লেক বানানো হয়েছে সেখানে। বিশ্বের অন্যতম এক রোমান্টিক স্থান বা পার্ক এই লাভ লেক।

এর প্রবেশদ্বারে বিশালাকার একটি কাঠ খোদাই করে লাভ লেক লেখা আছে। গাছের ফাঁকে, পাথর এবং দেওয়াল এবং এমনকি জলেও প্রেমের এই প্রতীক বর্তমান। লাভ লেকের চারপাশকে প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি গাছ ঘিরে রেখেছে।

এই লেকের জলে আপনি চাইলে পা ভেজাতে পারবেন। লেকের এক অংশে গোল্ড ফিশ খেলা করছে।

১৭৫ প্রজাতির পাখির কলতানে এই মরু উদ্যান একেবারে জমজমাট। বলা হয় দুবাইয়ের সবচেয়ে সুন্দর সূর্যাস্ত আপনি এখানেই দেখতে পাবেন।

এই লাভ লেক পার্কে প্রবেশ করতে আপনাকে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। তবে আপনি যদি পার্কে ড্রোন নিয়ে উড়াতে চান তাহলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি দরকার হবে আপনার।

পার্কের আশেপাশে দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে আছে বিভিন্ন খামার, মরুভূমির সংরক্ষিত স্থান এবং ঘোড়ার আস্তাবল। এটি আবিষ্কারের পর থেকে এখানে পর্যটকদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শান্ত পরিবেশ, পাখির ডাক ও বাতাসে গাছপালার মৃদু শব্দে মুহূর্তেই প্রেমের পরিবেশ তৈরি হবে আপনার মনেও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.