স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অভিযোগের পর এবার নন্দীগ্রামের রির্টানিং অফিসারের (RO) বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।
সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারের বার্তা বলে দাবি করে একটি মেসেজ দেখিয়ে অভিযোগ করেন, ‘‘এক জনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি। নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, গান পয়েন্টের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। নন্দীগ্রামে মেশিন পাল্টে দেওয়া হয়েছে।’’ সাংবাদিকদের পড়ে শোনানো হয়, ‘প্লিজ সেভ মি। আমার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া বিকল্প নেই। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমার ছোট মেয়ে রয়েছে।’ এরপর মমতা বলেন, ‘বুঝতে পারছেন কী হয়েছে! সব জায়গায় এক ফল আর একটা জায়গায় হঠাৎ ৮ হাজার ভোট হয়ে গেল জিরো। ৪ ঘণ্টা সার্ভার ডাউন করে রেখে দিয়েছিল। ৪০ মিনিট লোডশেডিং করে রেখেছিল। মেশিন পাল্টেছে। অনেক কিছু করেছে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কাজ করানো হচ্ছে রিটার্নিং অফিসারকে।’ তৃণমূলনেত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনের পর নড়চড়ে বসে কমিশন। তাদের নির্দেশ, ‘নন্দীগ্রামে রির্টানিং অফিসারের নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া নজরদারি ও পর্যালোচনার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত পশ্চিমবঙ্গে সরকারের।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ১ ঘন্টার ব্যবধানে করোনায় মা ও স্বামীকে হারালেন প্রাক্তন ডিজি অর্চনা দত্ত
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের মতো ভোটগণনার দিন টানটান নাটক চলে নন্দীগ্রামকে (Nandigram) ঘিরে। নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), এই খবর প্রথমে সামনে আসে। কিছুক্ষণ বাদেই জানা যায়, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই নন্দীগ্রামে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন মমতা। এই নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, ‘কারচুপি হয়েছে, আমরা কোর্টে যাব।’
মহানাটকের পর শেষমেশ নন্দীগ্রামে জয়ের হাসি হেসেছেন শুভেন্দু অধিকারীই (Suvendu Adhikari)। জয় ঘোষণার পরই টুইটারে বিজেপি নেতা লেখেন, ‘ আমার উপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.