মুম্বইঃ হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির প্রখ্যাত টেলিভিশন অভিনেতার বিরুদ্ধে উঠেছে প্ররতারনার অভিযোগ। অভিনেতা অনুজ সাক্সসেনাকে (Anuj Saxena) গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস শাখা। অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ১৪১ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন।

অনুজ অভিনয়ের পাশাপাশি একটি ফার্মাটিক্যাল কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন। আর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই কোম্পানিতে বিনিয়গকারী এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ২০১২ সালে এই কোম্পানিতে এক বৃহৎ অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। যার সময়সীমা ছিল ২০১৫ সাল অবধি। সেই টাকা তিনি ফেরত না পাওয়ায় অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তিনি এও বলেছেন, তার সঙ্গে আরও বহু মানুষ এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তারা কেউই অর্থ ফেরত পায়নি। কোম্পানি তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রত্যেকেই নিজেদের অর্থ ফেরত পাবে। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কোন লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশের দারস্ত হয়েছেন বলেই জানান।

এক পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক জানিয়েছেন, MPID Act এর অধীনে কোম্পানির যাবতীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোম্পানির থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন পুলিশ। কৌশিক আরও বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা প্রত্যেকেই তাদের অর্থ ফেতের পাবেন।

তদন্তকারী সিনিয়র অফিসার রাজেশ কেল্বে জানিয়েছেন, সাক্সেনাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও অনুজ তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন এই ফার্মাটিক্যাল কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার হিসাবে তিনি নিযুক্ত হয়েছেন ২০১৫ সালে। এই মহামারীর সময় তার ফার্মাটিক্যাল কোম্পানি পিপিই কিট এবং স্যানিটাইজার তৈরি করে। এটুকুই তিনি জানেন। ওইসব টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেই তার দাবি। অভিনেতাকে আদালতে তোলা হলে, তিনি একই কথাই বলেছেন। স্পেশাল জাজ অভিজিত নন্দগাওকর জানান, কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসারের মত এত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অনুজ। তাই এই বিষয়ে নিশ্চয়ই কিছু জানেন তিনি। তাই আপাতত অভিনেতাকে পুলিশ হেফাজতেই রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেছিলেন অনুজ। দূরদর্শনে একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও তিনি জনপ্রিয়তা পান ২০০০ সালে ‘কুসুম’ ধারাবাহিকটি থেকে। তারপর ‘কুমকুম – এক প্যায়ারা সা বান্ধান’, ‘রিশতো কি দোর’ প্রমুখ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘চেজ’ এবং ‘পারাঠেওয়ালি গালি’ নামক দুটি ছবিতেও কাজ করেছেন অনুজ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.