কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক
এই অবস্থায় নিজের কালীঘাটের বাড়িতেই জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মহাপাত্রকেও জরুরি তলব করা হয়েছে। এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। একই সঙ্গে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আইশৃঙ্খলা ইস্যুতে হতে পারে আলোচনা
ভোটের পরেই একের পর এক জায়গা থেকে উত্তেজনার খবর সামনে আসছে। দিলীপ ঘোষের দাবি, ফলাফল প্রকাশের পর থেকে ৬ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। আক্রাত হয়েছেন একের পর এক বিজেপি সদস্য এবং তাঁর পরিবার। শুধু বিজেপিই নয়। বাম কগ্রেসের নেতা-কর্মীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে। উদ্বিগ্ন সবপক্ষ। এই অবস্থায় ইতিমধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। কেন বিরোধীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে সে বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, মোদীও রাজ্যপালকে ফোন করে রাজ্যের অবস্থা নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। এই অবস্থায় এদিনের বৈঠকে মমতা কেন এমন হচ্ছে সে বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে জানতে চাইতে পারেন। একই সঙ্গে বার্তাও দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কোভিড অবস্থা নিয়েও আলোচনা
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একদিকে উদ্বিগ্ন মমতা অন্যদিকে রাজ্যের কোভিড অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। দৈনিক সংক্রমণের হার ১৭ হাজার। এই অবস্থায় কিভাবে তা সামলানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। অন্যদিকে, লকডাউন অথবা কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগে রাজ্যপাল
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। হিংসার ঘটনা রুখতে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেছেন। এদিন রাজ্যপাল ট্যুইট করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও রাজ্য পুলিশকে এই অর্থহীন রাজনৈতিক হিংসা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও হুমকি প্রতিরোধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক। সারা বিশ্বের সমগ্র বঙ্গ সমাজই আইন-শৃঙ্খলার অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই কেন ভোট-পরবর্তী হিংসা? গণতন্ত্রের ওপর এই নিগ্রহ কেন?
রাজ্যজুড়ে হিংসা
নন্দীগ্রাম থেকে শীতলকুচি, এমনকী খোদ কলকাতাতেও একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। বেলেঘাটা, শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ৬ জন খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকাতেও ভাঙচুরের ঘটনা চলছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, আইএসএফের একজনকেও বোমার আঘাতে মেরে ফেলা হয়েছে। শতাধিক বাড়ি, পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। শান্তিপূর্ণভাবে এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। কাল রাস্তায় নেমে ধর্না দিয়েও প্রয়োজনে প্রতিবাদ জানানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।