আব্বাস ভাইজান। খুব অল্প দিনেই রাজ্য-রাজনীতিতে একটা মুখ হয়ে ওঠেন। ব্যাপক জনপ্রিয়তা। কিছু বললেই কার্যত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ভাইজান। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
সংখ্যালঘুদের শুধু ব্যবহার করেছে তৃণমূল সরকার। এমন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ভাইজান। তবে ভোট মিটতেই সুর নরম! বিপুল ভোটে জয়ের জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি।
উল্লেখ্য, বামেদের সঙ্গে জোট করে ভোটের ময়দানে নামে ভাইজানের দল আইএসএফ। কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
সংখ্যালঘু মানুষের একাংশ ভাইজানের দলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অবস্থায় ভোটের ফলাফল প্রকাশের প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর ভিডিও বার্তা দিলেন ভাইজান।
মমতার পাশাপাশি জয়ের জন্য তিনি শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল কর্মীদেরও। কিন্তু, ভোটে ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে যেভাবে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।
ভিডিয়ো বার্তায় এ দিন আব্বাস বলেন, ''আমি বাংলার গণতান্ত্রিক সকল মানুষকে ধন্যবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে। মানুষের সমর্থনে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্য সরকার পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন,আমরা গণতন্ত্রের রায়কে সন্মান ও শ্রদ্ধা করি।
রাজ্যের যে সব মানুষ আই এস এফ সহ সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ। আই এস এফ প্রার্থী নওসাদ সিদ্দিকীকে নির্বাচিত করার জন্য ভাঙ্গড়বাসীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আগামী দিনে নওসাদ সিদ্দিকী আপনাদের মনের আশা পূরণ করার সর্বত্র প্রচেষ্টা চালাবেন''।
একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ টেনে শাসকদলকে একহাত নেন আব্বাস।
ভিডিও বার্তায় আব্বাস বলেন, ফলাফল পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ভাংচুর থেকে শুরু করে মারধোর এবং খুন খারাপি। কিছুই বাদ যাচ্ছে না।
আব্বাস বলেন, ইতিমধ্যে শাসকদলের আক্রমণে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছির উলাগ্রামে এক আইএসএফ কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ভাঙর বিধানসভার অধীন নারায়ণপুর অঞ্চলের গাজী আব্দুল হাকিম মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অবিলম্বে এমন অবস্থা বন্ধ হওয়া উচিত বলে দাবি আইএসএফ সুপ্রিমোর।
একই সঙ্গে আব্বাস বলেন, রাজ্যের মানুষ যখন করোনার প্রকোপে এক চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ঠিকমতো ভর্তি হতে পারছেন না। মুমূর্ষু রোগীরা অক্সিজেন পাচ্ছে না, কোথাও মৃতদেহ সৎকার করতে পারছে না আর ভ্যাক্সিনের জন্য হাহাকার করছে, সেখানে রাজ্যব্যাপী যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়।
বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন আব্বাস।