ছোটবেলায় সাধারণজ্ঞানের বইয়ে আমাদের একটা প্রশ্ন এখনো মাথায় ঢুকে আছে যা হচ্ছে এই পৃথিবীতে মহাদেশের সংখ্যা কতগুলো। সবাই সহজেই এর উত্তরে বলেন যে সংখ্যাটি হলো ৭ টি।
এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যান্টার্কটিকা। তবে এই উত্তর কি আদৌ সঠিক?
একটু সমস্যা থেকেই যায়। কারণ আমরা এই ৭টি মহাদেশের কথা জানলেও এটা ছাড়াও আরও একটির হদিশ রয়েছে এই পৃথিবীতেই।
মনে করা হয় যে এটি আবিষ্কার করতে নাকি সময় লেগেছে ৩৭৫ বছর। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে ৪ বছর আগে সেই মহাদেশকে আবিষ্কার করা হয়েছিল।
তবে কোনো মানচিত্রে বা কোথাও সেই নতুন মহাদেশের উল্লেখ আপনি পাবেন না। ইউরোপের অনেক অভিযাত্রীই মনে করতেন যে ল্যাটিন আমেরিকা ছাড়িয়ে আরও দক্ষিণ-পশ্চিমে গেলে একটা নতুন মহাদেশের খোঁজ পেতে পারেন তারা।
সাধারণ মানুষ অবশ্য সেই ভাবনাকে গুরুত্ব দিতেন না। তেমনই এক অভিযাত্রী আবেল তাসমান।
আরো পোস্ট- জেল্লা থাকুক বজায় ব্রাউন সুগারে
ডাচ সেই অভিযাত্রী তাসমান একদিন জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন সেই নতুন মহাদেশ আবিষ্কারের পথে। সেটা ১৬৪২ সাল। তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে তিনি নাকি জয়ী হয়েই ফিরবেন।
ল্যাটিন আমেরিকা পেরিয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে যেতেই তিনি সমুদ্রের মাঝে দেখতে পান স্থলভাগ। এটিকে আসলে বলা হয় ওসেয়ানিয়া মহাদেশ।
তবে এটা সেই মহাদেশ না যা নাকি তাসমান খুঁজতে গেছিলেন। ২০১৭ সালে তা পেলেন নিউজিল্যান্ডের একদল অভিযাত্রী। প্রশান্ত মহাসাগরে ডুবে রয়েছে এর প্রায় ৯৩ থেকে ৯৪ শতাংশ।
জিল্যান্ডিয়া নাম দেওয়া হয় তার। বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগ মনে করেন যে এটিকে মহাদেশ বলা হলেও তার আসল স্থান সমুদ্রের নিচে।
এর উপরে আবার রয়েছে প্রায় ২ কিলোমিটার উঁচু জলস্তর। তাই এটিকে মহাদেশ বলতে তারা নারাজ। এর মাটির সঙ্গে মহাদেশের মাটির মিলও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে এই মহাদেশটি প্রায় পুরো অংশই নিমজ্জিত ছিল সমুদ্রে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.