মুম্বই: করোনা করাল গ্রাসে মাঝপথেই স্থগিত করে দিতে হয়েছে ২০২১ আইপিএল৷ এর ফলে আড়াই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বিসিসিআই-এর৷ কিন্তু এর থেকেও বড় দু:সংবাদ, নভেম্বরে ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার হারাতে চলেছে ভারত৷
কিছুদিন আগেই আইসিসি-র তরফে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের পরিবর্তিত ভেন্যু ঠিক রাখার আভাস দেওয়া হয়েছে৷ তবে বিসিসিআই ও আইসিসি-র তরফে নভেম্বরে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি৷ কিন্তু আইপিএলের মত সুরক্ষিত বায়ো-বাবলের মধ্যে থেকেও ক্রিকেটাররা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নভেম্বরে টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নন বোর্ডকর্তারাও৷ এছাড়াও নভেম্বরে ভারতের করোনা তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন৷
বোর্ডের এক সিনিয়র আধিকারিক পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ‘আইপিএল চার সপ্তাহের পরেই স্থগিত করে দিতে হল৷ সুতরাং এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে৷ নভেম্বরে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভবনা রয়েছে৷ তাই বিসিসিআই আয়োজক হলেও বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আয়োজন করতে পারে বোর্ড৷’
আইপিএলের চতুর্দশ সংস্করণ শুরু হয়েছিল ৯ এপ্রিল৷ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ মে৷ কিন্তু মাত্র ২৪ দিন পরেই টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই৷ প্রতিদিন বায়ো-বাবেলে থাকা ক্রিকেটাররা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকের পর ২০২১ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড৷ সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মঙ্গলবারও করোনা আক্রান্ত হন আইপিএলের একাধিক ক্রিকেটার৷ সানরাইজার্স হায়দরাবেদের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের লেগ-স্পিনার অমিত মিশ্রের করোনা আক্রান্তের খবর সামনে আসে৷
এর পরই বোর্ড আধিকারিক ও গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরাবৈঠকের পরই বিসিসিআই ভাইস-প্রেসিডেন্ট শুক্লা জানান, ‘বোর্ডের সকল আধিকারিক, কাউন্সিলের সদস্য ও ফ্র্যাঞ্জাইজি এবং ব্রডকাস্টারের সঙ্গে আলোচনা করার পর আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে আইপিএল শুরু করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড৷’ আইপিএল বন্ধে বছর শেষে ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপের উপর নেমে এল কালো মেঘ৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.