মমতার মুখে অপ্রত্যাশিত কথা
এবারের নির্বাচনে বাংলা থেকে সাফ হয়ে গিয়েছে বামেরা। অধিকাংশ প্রার্থীর জমানত জব্দ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের শূন্য হিসেবে দেখতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে তিনি বামেদের বিরোধী। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই বাংলায় ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান হয়েছিল।
বিজেপির বদলে বামেরা আসন পেলে ভাল হত
এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৭৮ টি আসন দখল করেছে। ২০১৬-তে ৩ থেকে ৭৫ টি আসন বাড়াতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির বদলে যদি বামেরা আসন জিতত তাহলে ভাল হত। কার্যত তিনি বলতে চাইলেন, বিরোধী বেঞ্চে বিজেপির বদলে বামেরা থাকলেই ভাল হত।
বামেদের আক্রমণ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বিজেপিকে সাহায্য করেছেন তারা। নিজেদের বিক্রি করে দিয়ে সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছেন। এব্যাপারে তাদের ভাবনা চিন্তা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত এবারের নির্বাচনে স্বাধীন ভারতে প্রথমবার বামেরা একটি আসনও পায়নি। আসন পায়নি কংগ্রেসও। অথচ কংগ্রেস ও বামেরাই রাজ্য শাসন করেছে প্রায় ৬০ বছর। এবার এই দুই দলকে বিজেপির কাছে হার মানতে হয়েছে।
বিপর্যয়ে দায়ী আব্বাসের সঙ্গে জোট
নির্বাচনের ফলাফলকে বিপর্যয় বলেই বর্ণনা করেছেন রাজ্যের বাম নেতারা। অনেকে আবার পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট কেই দায়ী করেছেন এই ফলাফলের পিছনে। বাম নেতারা বলেছেন বিজেপি বিরোধী ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে বিজেপির জয়ের আশঙ্কায় অধিকাংশ মুসলিম ভোট এবার তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। এমন কী কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত মালদহ এবং মুর্শিদাবাদেও তা হয়েছে।
আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য বলেছেন, এক স্বৈরাচারী অপর স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছেন। আর সাধারণ মানুষ ভেবেছেন বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলই হল বিকল্প। পাশাপাশি আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট ভাল ফল আনতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তবে অনেক বাম সমর্থক রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটকে মেনে নিতে পারেননি। ৩৫ বছর সরকারে থেকে কংগ্রেসের বিরোধিতার পর তাদের সঙ্গে জোটের কারণেও বামেদের এই অবস্থা বলে অনেকে মনে করছেন।