কবি যে শুধুই লিখতে ভালোবাসতেন তা নয়। পাশাপাশি ভোজনরসিকও ছিলেন তিনি।

শুধু দেশীয় রান্না নয় বিদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে সেখানকার বিভিন্ন রান্নার স্বাদও তার কাছে সমান প্রিয় ছিল।

স্যালাড যেমন খেতেন তেমনি ভালোবাসতেন কাবাব। আবার বিশেষ কিছু নিরামিষ পদও থাকতো তার পাতে।

মাঝে মাঝে আবার নাকি তিনি নিজের হাতের রান্না করতেন। তার এই ভোজনপ্রীতির ফলে ঠাকুরবাড়িতে নিত্যনতুন হতো পঞ্চ ব্যঞ্জন।

বেশকিছু ফিউশন রান্না তার হাত ধরেই তৈরি হয়েছে ঠাকুরবাড়ির হেঁসেলে। আবার অতি সাদামাটা খাবারকেও তিনি অবহেলা করতেন না।

নিজের দেশে এবং বিদেশে যখনই তিনি ঘুরতে যেতেন কোন বিশেষ নিমন্ত্রণ রক্ষায়, সেখানকার মেনু কার্ড নিজের সংগ্রহে রাখতেন।

আপনাদের জন্য রইল সেই ঠাকুরবাড়ির একটি বিশেষ রান্না। ঠাকুর বাড়ির নিরামিষ পদের মধ্যে অন্যতম ছিল এই পদ। গরমকালে পদটি আপনার বাড়িতে রান্না করতে পারেন ।এটি খুবই হালকা পদ এবং সহজপাচ্য।

উপকরণ: মাঝারি সাইজের দুটো আলু, পটল ৫টা, মিষ্টি কুমড়ো ১ ফালি, কাঁচা পেঁপে ছোট ১টা, ঝিঙা ৫টা, তেল ২৫০ গ্রাম, বরবটি ৮টা, বেগুন ২টা, শুকনা লঙ্কা ৭ থেকে ৮টা, পুঁইপাতা কয়েকটা, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, আদা ছেঁচা ১০০ গ্রাম, চালের গুঁড়ো ১ কাপ ও দুধ ২ কাপ।

কীভাবে বানাবেন: সব সব্জিগুলি ধুয়ে ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। যেগুলো সেদ্ধ হতে সময় লাগে সেগুলো আলাদা করে রেখে দিন এক পাত্রে।

তেলে প্রথমে লঙ্কা, পাঁচফোড়ন, আদা ছেঁচা দিয়ে দিন ও সেটা ভালো করে নাড়ুন। একটু নেড়েই বেছে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিন ও আবার নাড়ুন।

এরপর বাকি সবজি দিয়ে আস্তে আস্তে কষতে থাকুন। সব সেদ্ধ হলে নামিয়ে রেখে দিন।

আরেকটি কড়াইতে এবার দুধে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ঢেলে দিতে হবে। অন্য এক প্যানে ২ চামচ ঘি দিয়ে গরম করে একটু পাঁচফোড়ন ভেজে ওই সব্জিতে ঢেলে দিন।

তৈরি হয়ে গেলো নিরামিষ রান্নাটি। এবার গরম ভাতের সঙ্গে দুপুরের লাঞ্চে রাখুন এই পদ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.