হার নিয়ে নেতৃত্বকে নিশানা তথাগত রায়ের, মুখ খুললেন বিজেপির 'নগরী নটী'দের নিয়ে

দাবি ছিল ২০০ পার করার। কিন্তু তার অর্ধেকও জোগার করে উঠতে পারেনি বিজেপি (bjp)। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরমহলে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম বোমাটি ফাটালেন বিজেপি নেতা তথাগত রায় (tathagata roy) । তিনি হার নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকেই নিশানা করেছেন।

হিরণকে বাদ দিলে সব অভিনেতা-অভিনেত্রীই পরাজিত

একদিকে তৃণমূলে সায়নী ঘোষকে বাদ দিলে, যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির তরফে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিলেন বিজেপির পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পার্নো মিত্র-সহ সবাই পরাজিত হয়েছে। যা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিস্ফোরক তথাগত রায়

এদিন হার নিয়ে দলের নেতৃত্বের প্রতি তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা' নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কী ? পরে একটি সংশোধন করে তিনি অবশ্য বলেছেন পার্নো মিত্র নয়, তনুশ্রী চক্রবর্তী মদন মিত্রের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন।

পলিটিক্যালি স্টুপিড

তথাগত রায় টুইটে বলেছেন, বিজেপি শুধু নির্বাচনের টিকিটই দেয় না, তার নির্বাচনে লড়াই করার জন্য টাকাও দেয়। দলের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তিন হেরে যাওয়া প্রার্থী সম্পর্কে বলেছেন, টিভি-চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে বিজেপি কেন, কোনও দিন কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল না। হেরে যাওয়া তিন মহিলা প্রার্থীকেই তিনি রাজনৈতিকভাবে বোকা বলে উল্লেখ করেছেন।

গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনে জরুরি মেরামতি, একদিন পুরো জলশূন্য হতে চলেছে দক্ষিণ কলকাতা, কবে জেনে নিন

গুরুত্ব দিচ্ছেন না দিলীপ-রাহুল

যদিও এই মুহূর্তে তথাগত রায়ের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তারা অসম যুদ্ধে লড়াই করেছেন। আজ পর্যন্ত রেকর্ড জিত আমরা জিতেছেন। যেটা বাংলার কেউ কল্পনা করেনি। কেউ কল্পনার জগতে থাকতে পারেন বলে পাল্টা কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন বাস্তবে লড়াই করছে বিজেপি। অন্যদিকে রাহুল সিনহা বলেছেন, এখন কর্মীদের পাশে থাকতে হবে। সেটাই প্রথম কাজ। পরে হারের ময়নাতদন্ত করা হবে।

মমতার জয়কে স্বাগত! দান-ধ্যান নয়, সরকার নজর দিক শিল্প-কর্মসংস্থানে, বলছে শিল্পমহল