করোনার থাবা
আইপিএলের জন্য বিভিন্ন দলের শিবির শুরুর সময় থেকেই করোনা নিয়ে চিন্তা ছিলই। বারবার বিসিসিআই, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, এমনকী কয়েকজন ক্রিকেটারও বলেছিলেন আইপিএলের কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের কথা। আইপিএল চলাকালীন করোনা জয় করে মাঠে ফেরেন দেবদত্ত পাড়িক্কাল, অক্ষর প্যাটেলের মতো ক্রিকেটাররা। তবে চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র আক্রান্ত হন। এরপর চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও কাশী বিশ্বনাথন, বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজি ও এক বাসকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। যদিও আবার পরমুহূর্তে খবর আসে পজিটিভ রিপোর্টের পরদিন নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আজ আবার সকালে চেন্নাই সুপার কিংস জানায় বালাজি ও বাসকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এভাবে বারবার বিভ্রান্তিকর রিপোর্টও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজ জানা যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহাও করোনা আক্রান্ত!
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত
বিসিসিআইয়ের তরফে সরকারিভাবে আইপিএল স্থগিত রাখার যে ঘোষণা করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে আজ থেকেই আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের জরুরি সভায়। ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ-সহ আইপিএলের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত কারও স্বাস্থ্যের সুরক্ষার সঙ্গে কোনও আপোষ করা হবে না। ভারতে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আইপিএল আয়োজনের মাধ্যমে মানুষের মনে একটু আনন্দ দিতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে আইপিএল আয়োজন করছিল বোর্ড। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলেই যাতে কঠিন সময়ে পরিবার ও প্রিয়জনের পাশে থাকতে পারেন সেই কথা মাথায় রেখেই আইপিএল স্থগিত রাখা হচ্ছে। সকলে যাতে সুরক্ষিতভাবে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন তার সব ব্যবস্থা বিসিসিআই করছে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
যে ভাবনা ছিল
একের পর এক দলে করোনার ছোবলের কথা সামনে আসতেই বিকল্প ভাবনাও রেখেছিল বিসিসিআই। সর্বশেষ যেটা জানা গিয়েছিল যে, ৭ তারিখের পর থেকে সব ম্যাচ সরিয়ে এনে শুধু মুম্বইয়ে আয়োজন করা হবে। সেখানে ওয়াংখেড়ে ও ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। যদিও মহারাষ্ট্রেও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তাছাড়া প্রথম থেকেই মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছিল, আইপিএল আয়োজন করতে হলে শুধু ওয়াংখেড়েতেই করতে হবে।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
ভারতে অনিশ্চিত বিশ্বকাপ
আইপিএল খেলে ভারতের লম্বা ইংল্যান্ড সফর। তারপর দেশে টি ২০ বিশ্বকাপে নামার আগে ভারতের জন্য কয়েকটা সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল বিসিসিআইয়ের। করোনা পরিস্থিতিতেও আইপিএল সফলভাবে আয়োজন করে বোর্ড আসলে দেখাতে চাইছিল আমরা এবাবেই বিশ্বকাপ আয়োজনও করতে পারব। ৯টি শহর থেকে দুটি শহরে বিশ্বকাপ করার ভাবনাও ছিল। যেমনভাবে এবার দুটি শহরে পর্যায়ক্রমে আইপিএলের ম্যাচগুলি হচ্ছিল। বর্তমানে চলছিল দিল্লি ও আমেদাবাদে। ৯ মে থেকে আইপিএলের আসর বসার কথা ছিল কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে। তারপর প্লে অফ আমেদাবাদে। যদিও আইপিএল চালাতে না পেরে ধাক্কা খেল ভারতেই বোর্ডের টি ২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের আত্মবিশ্বাস। পরিস্থিতির খুব রদবদল না হলে টি ২০ বিশ্বকাপ সরতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই। যদিও বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে থাকবে বিসিসিআই-ই।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)