ফ্যাশন আজকালকার যুগে শুধুই মেয়েদের মধ্যে আটকে নেই। কিন্তু মেয়েদের ফ্যাশন যদি ছেলেরা করে কেমন লাগবে?
এমনই কিছু আগেও করা হতো সমাজে। ফ্যাশন সচেতন নারীর সম্পত্তির তালিকায় একটি হলেও হাই হিল (high heel) জুতো থাকবেই এটা সকলেই জানি ও মানি।
কিন্তু আপনি বিশ্বাস করবেন কি যদি বলা হয় যে হাই হিল (high heel) পরার সর্বপ্রথম চল আসে পুরুষদের মাঝে? মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কয়েক শতাব্দী অবধি হাই হিল (high heel) পরার প্রচলন ছিল।
কিন্তু হাঁটার সময় নয়, বরং যুদ্ধের সময়ে পুরুষরা ব্যবহৃত করতো এটি। ঘোড়ার পিঠে চড়ে থাকা অবস্থায় রেকাবে পা রেখে দাঁড়াতে এবং তীর ছুঁড়তে হতো তখন।
সেই সময়ে হাই হিল পরা অবস্থায় রেকাবে পা আটকে রাখা তাদের পক্ষে সহজ হতো। তাই সেই সময়ে তীরন্দাজরা হাই হিল ( high heel) পরতেন।
ষোলো’শ শতকের দিকে ইউরোপীয় সমাজে (european society) হাই হিল পরার এই প্রথা শুরু হতে দেখা যায়। তখন আবার সমাজের ধনী গোষ্ঠীর পুরুষেরা নিজেদের প্রভাব জাহির করার জন্য হাই হিল পরা শুরু করতে থাকে সেই সময়েই।
এর পেছনের কারণটা আবার হলো যে এই জুতো পরলে হাঁটতে অসুবিধে হয়। নিচু তোলার লোকেরা কাজে ব্যস্ত থাকতে বলে তারা পরতে পারতো না।
তাই সমাজের উচ্চ মর্যাদার মানুষদের কোনো রকমের পরিশ্রম করতে হতো না বলে তারাই হাই হিল পরার মতো বিলাসিতা করতে পারতো। ১৬৩০ সালের দিকে নারীরা গতাদের ফ্যাশনে অন্তর্গত করে হাই হিল।
সেই সময়ে মহিলাদের থেকে নিজেদের আলাদা দেখাতে উঁচু শ্রেণীর লোকেরা হিলের উচ্চতা আবার বাড়িয়ে দেয়। নারীরা পরত সরু হিল এবং পুরুষেরা পরত মোটা হিল।
ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের সম্ভারে ছিল অনেক প্রকার হাই হিল (high heel)। কমপক্ষে চার ইঞ্চি উচ্চতার হাই হিল পরতেন তিনি। কিন্তু এখন আর সেই হিল পুরুষরা পরে না কেন?
মনে করা হয় যে নারীরা হাই হিল (high heel) পরে নাকি তার পুরুষালী আবেদন কমিয়ে দিচ্ছিল। সেই কারণেই হাই হিল পরার ওপর থেকে পুরুষদের আগ্রহ চলে যায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.