ভোট পরবর্তী হিংসা
ভোেট তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরেই জেলায় জেলায় হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে। শীতলকুচি থেকে শহর কলকাতা সর্বত্র আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছেনপ্রায় ৬ জন বিজেপি কর্মী। একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক বাড়ি ছাড়া। তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। একাধিক জায়গায় বিজেপির পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে নাড্ডা
ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যে এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেিপ নাড্ডা। বাংলার ভোটের বিজেপির খারাপ ফলের দায় তাঁর উপরেও বর্তায়। বাংলা জয়ে দিনরাত এক করে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারে প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল তাঁর কনভয়। ভোটের পরে বাংলায় একের পর এক দলীয় কর্মীদের খুন এবংহামলার ঘটনা জানতে পেরেই তাঁর রাজ্যে আসা। সোনারপুর ও বেলেঘাটায় আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যাবেন তিনি। কথা বলবেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে।
বিমানবন্দরেই বৈঠক
রাজ্যে পা রেখেই বিমানবন্দরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। সেখানে দেখা মেলেনি মুকুল রায়ের। দলবদলুরাই মুখ পু়ড়িয়েছে বিজেপির। তারকাদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছিল এই নিয়ে প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তথাগত রায়। দিলীপ-কৈলাশের সঙ্গে বৈঠকে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে হারের বিষয় নিয়েওআলোচনা হতে বলে মনে করা হচ্ছে।
হিংসা নিয়ে মোদীর টুইট
রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হিংসার ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটে জানিয়েছেন পুলিশের উচিত কড়া পদক্ষেপ করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দলীয় কর্মীদের শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন।