নয়াদিল্লি: ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন করোনার ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও লড়তে সক্ষম। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সঙ্গে একটি সমীক্ষা করেছিল। তারপরই এই দুই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে SARS-CoV-2 ভাইরাসের B.1.128.2 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
আমেরিকার নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাসের E484K মিউটেশনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এটি ব্রাজিলের ভ্য়ারিয়েন্টের সঙ্গে যুক্ত। মনে করা হচ্ছে এই মিউটেশনের বিরুদ্ধেও কাজ করবে কোভ্যাক্সিন। এর আগে ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট B.1.1.7 এবং ভারতের ডাবল মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট B.1.617 এর বিরুদ্ধেও লড়তে পারে কোভ্যাক্সিন। সমীক্ষা এও দেখিয়েছে করোনা ভাইরাসের একাধিক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে এই টিকা। অকুজেন কোম্পানির ভ্যাকসিন সাইন্টিফিক অ্যাডভাইসরি বোর্ডের চেয়ারপার্সন ড. সতীশ চন্দ্রন জানিয়েছেন, সমীক্ষার ফলাফল পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত। কারণ কোভ্যাক্সিন একাধিক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি যে মিউট্যান্ট ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে পারে সেই সম্ভাবনাও দেখা গিয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড এই দুটি টিকা নিয়ে লড়ছে ভারত। সোমবারের রিপোর্ট বলছে, দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৪৭ জন। গত কয়েকদিন যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল সংক্রমণ, এদিনের সংখ্যা তার চেয়ে কিছুটা কম। রবিবারের তুলনায় কমেছে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও। মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪১৭ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০৪ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৫৯। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৭৩২ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থতার সংখ্যা বাড়ায় খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। বর্তমানে দেশের মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৪২। করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন সরবরাহের উপর জোর দিচ্ছে বিরোধীরাও। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি যৌথ বিবৃতি পাঠানো হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.