মোদীর বারাণসী ও রামের অযোধ্যাতেও বিজেপির হার
উত্তর প্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা গোহারা হেরেছেন। বহু লড়াইয়ের ফসল রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরুর পরও অযোধ্যায় বিজেপি হেরেছে। হেরেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতেও। উত্তরপ্রদেশের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ জেলায় বিজেপির হারের পর উচ্ছ্বসিত সমাজবাদী পার্টি।
রামের অযোধ্যায় ভোটের ফলে গোহারা হল বিজেপি
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গিয়েছে, বিজেপি অযোধ্যায় ৪০টি জেলা পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে মাত্র ছয়টিতে জিতেছে। সমাজবাদী পার্টি অযোধ্যাতে ২৪টি আসন জিতেছে। বিজেপির রাম মন্দির নির্মাণ প্রকল্পটি গত বছর শুরু হওয়ার পর এই ফল ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে। বহুজন সমাজ পার্টি পাঁচটি জেলা পঞ্চায়েতের আসনে জিতেছে।
মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতেও শোচনীয় হার বিজেপির
শুধু অযোধ্যাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে বিজেপি গোহারা হেরেছে। বারাণসীতে ৪০টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র সাতটি আসন জিততে সক্ষম হয়েছে। সমাজবাদী পার্টি বারাণসীর আসনগুলির মধ্যে ১৫টিতে জিতেছে। ৩০৫০টি জেলা পর্যায়ের পঞ্চায়েত ওয়ার্ড রয়েছে। বিজেপি দাবি করেছে, জেলা পঞ্চায়েতের জন্য দলের ৯১৮ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৫০০ জনেরও বেশি এগিয়ে রয়েছেন।
ময়নাপুরীতে মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ বিজেপি
ময়নাপুরী জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টির প্রাণপুরুষ মুলায়ম সিং যাদবের ভাইঝি সন্ধ্যা যাদবকে দলে নেয় বিজেপি। কিন্তু তার ফায়দা তুলতে পারেনি তারা। সমাজবাদী পার্টির উপর বিজেপি কোনও মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়। কারণ সন্ধ্যা যাদব সমাজবাদী পার্টির প্রমোদ যাদবের কাছে পরাজিত হন।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় চারস্তরে
সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, তাদের প্রার্থীরা জয়যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন তাদের প্রার্থীদের শংসাপত্র হস্তান্তর করছে না। উত্তরপ্রদেশে ২৯ এপ্রিল চার ধাপে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পঞ্চায়েত সংস্থার চারটি স্তরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম প্রধান, ব্লক পঞ্চায়েত এবং জেলা পঞ্চায়েত।
৮.৬৯ লক্ষেরও বেশি পদে লড়াই ৭৫টি জেলায়
রবিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলাজুড়ে ৮২৫টিরও বেশি কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছিল। এখনও সমস্ত আসনের ফল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেনি। মোট ৮.৬৯ লক্ষেরও বেশি পদে লড়াই হয়। এই পদগুলির মধ্যে ৭.৩২ লক্ষেরও বেশি আসন গ্রাম পঞ্চায়েত ওয়ার্ডে, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৮,১৭৬, ব্লক পঞ্চায়েতে ৭৫,৮৫২ এবং জেলা পঞ্চায়েতে ৩,০৫০টি আসন ছিল।