কথায় বলে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। রবীন্দ্রনাথের জীবনে এই সুন্দরী ও গুণী রমণী ছিলেন তার বালিকা বধূ মৃণালিনী দেবী।

তবে তাদের বিয়েটা একেবারেই অন্যরকমভাবে হয়েছিল। প্রেমে পড়েছিলেন কবিগুরু।

ঠিক তারপরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হয়েছিলেন রবি ঠাকুর। তবে তার মধ্যেও ছিল অন্যরকম একটা ছাপ।

উত্তর কলকাতার এক অভিজাত, নামকরা ও একান্নবর্তী পরিবারের আদরের ছোট ছেলে ছিলেন তিনি। কিন্তু মন দিয়ে ফেলেছিলেন ঠাকুর এস্টেটের কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর মেয়েকে।

নাম ছিল তার ভবতারিণী। তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল বাইশ। আর ভবতারিণীর বয়স তখন ধরা হয় ছিল মাত্র নয় বছর। বালিকা বধূ হিসেবে ঠাকুরবাড়িতে নিয়ে এসে ‘ভবতারিণী’-কে ‘মৃণালিনী’তে রূপান্তরিত করে দেন স্বয়ং তার স্বামী রবীন্দ্রনাথ।

একরকম চাপে পড়েই শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছিলেন কবি বিয়ে করতে, এমনটা লিখেছেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের স্মৃতিকথায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষমেশ ভবতারিণীকেই পছন্দ হয় তার।

কনে দেখার দিন গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সঙ্গে আবার ছিলেন তার দুই বৌদি জ্ঞানদানন্দিনী এবং কাদম্বরী, দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথ।

যশোরের নরেন্দ্রপুর গ্রামে জ্ঞানদানন্দিনীর বাপের বাড়িতে থেকে মেয়ে দেখছিলেন তারা। সেই সময়েই অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলার অন্তর্গত দক্ষিণডিহির ফুলতলা গ্রামে বাস করা ঠাকুর এস্টেটের কর্মী বেণীমাধব রায়চৌধুরী আর দাক্ষায়ণীর কন্যা ভবতারিণী নজরে আসেন কবিগুরুর।

অনেকেই বলেন যে কৈশোরে কবির মনের গভীরে দাগ কেটেছিলেন তার এক মরাঠি বান্ধবী আনা তড়খড়। সেই নাম তিনি বদলে রেখেছিলেন ‘নলিনী’।

সেই নামের অনুসরণেই রবি ঠাকুর তার নববিবাহিত স্ত্রীর নাম রেখেছিলেন মৃণালিনী। কবি বিয়ে করতে শ্বশুরবাড়ি যাননি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ইচ্ছায় কলকাতায় জোড়াসাঁকোর মহর্ষিভবনে ব্রাহ্মমতে বিয়ে হয়েছিল তাদের।

তবে এই বিশাল পরিবারে এসে শুধুই বাড়ির এক কোণে নিজের স্ত্রীকে রাখেননি কবি। মৃণালিনীকে ইংরেজী শিক্ষা দিতে তিনি ভর্তি করলেন কলকাতার লরেটো হাউসে।

এছাড়াও তাকে সর্বদা বিভিন্ন ভাষা, সাহিত্যম ইতিহাস চর্চা করতে যেমন কবি নিজে উৎসাহ দিয়েছেন তেমন মৃণালিনী সাহায্য পেয়েছেন পরিবারের অন্যান্য জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিত্বদেরও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.