কলকাতা : রাজ্যের সাংবাদিকদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে ।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমি সব সাংবাদিক বন্ধুদের বলছি। আপানাদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হল। অনেক সাংবাদিক মারা গেছেন। করোনা আমাদের কাছে গুরুত্বের বিষয়। সাংবাদিকরা সর্বত্র কাজের জন্য যান। তাই আমি সাংবাদিকদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করলাম।”

রাজ্যে সর্বত্র ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে সাংবাদিকরা কাজ করছেন। করোনা রোগী, চিকিৎসা ব্যবস্থা, সৎকার সব বিষয়েই মানুষ সাংবাদিকদের কাছ থেকে সংবাদ পাচ্ছেন। আর প্রতি মুহূর্তে মানুষের কাছে সঠিক ভাবে শুধু করোনা নয় সব খবর পৌঁছে দেওয়ার দায় সাংবাদিকদের ওপর রয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে মহামারি পরিস্থিতিতে বহু সাংবাদিকদের কারণে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন অনেক সাংবাদিক। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের স্বস্তি দিলেন বলা যায়।

তবে সরকারি নথিতে সাংবাদিক হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তাদেরই রাজ্যে করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হল বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। মুখ্যমন্ত্রীর বলেন এখনও পর্যন্ত দেড় কোটি থেকে পৌনে দুই কোটি ভ্যাকসিন রাজ্যে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে টিকার ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের প্রথম ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে।” এদিকে পাঞ্জাব সরকার রাজ্যের সরকারি নথিভুক্ত সাংবাদিকদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করেছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা ভ্যাকসিনের ঘাটতি প্রসঙ্গে বলেন, “দেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৬৫% বাইরে পাঠানো হয়েছে। ঘাটতি তাই হয়েছে।” তবে এই মুহূর্তে নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের গুরুত্ব থাকলেও তাদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে না বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন।

তবে এর পরেও যেটা ভাবাচ্ছে তা হল রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে দেশের সঙ্গে রাজ্যেরও। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে দাবি করেছেন দেশের সবাইকে বিনা পয়সায় কোরোনার টিকা দিতে হবে। রাজ্যের তরফে রাজ্যের সব মানুষদের করোনা টিকা দেওয়া হবে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.