মুম্বই: করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা। বর্তমানে প্রতিটা ভারতবাসী একটা বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগেই আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পরছেন। তাই এই কোভিড ১৯ মহামারীর সময়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের উদ্দেশে শিল্পা অতিরিক্ত আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন।
সোমবার শিল্পা সোশ্যাল সাইটে তার অনুগামীদের এবং সকল ভারতীয়কে অনুরোধ করেছেন, এই কঠিন পরিস্থিতি পরিবর্তনে যদি কিছু না করতে পারেন, তাহলে দয়া করে অন্তত অতিমাত্রায় আতঙ্কিত হবে না। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই আমাদের আশেপাশের খবর দেখছি, পড়ছি। এই পরিস্থিতি একেবারেই ধ্বংসাত্মক। এই সকল খবর আমাদের মনের উপর সাংঘাতিক প্রভাব ফেলে। তবে তার পরেও কিছু ঘটনা শুনি বা দেখি যা অনেকটাই আশ্বাস জগায়। করোনা রোগীদের জন্যে খাবার, ওষুধ, প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বহু মানুষ। ডাক্তাররা অনলাইনে করোনা আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং যাবতীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এই সব ঘটনা আমাদের অনেকটাই ভরসা দেয়। মনে আশ্বাস দেয়।
এই করোনা যুদ্ধে একে অপরকে সহায়তা করেই জয়ী হওয়ার আশ্বাস রাখেন শিল্পা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আপনি যদি এই কঠিন পরিস্থিতিতে কাউক সহায়তা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই তা করুণ। কিন্তু যদি তা না করতে পারেন তাহলে দয়া করে শুধু শুধু আতঙ্কিত হবেন না। যা আপনার জন্যে এবং আপনার আশেপাশের মানুষের জন্যে ক্ষতিকারক। দীর্ঘ শ্বাস নিন এবং ভারসা রাখুন ভাল কিছু হবে। আমরা একসঙ্গে কাটিয়ে উঠবো এই দুর্দিন। আমরা একসঙ্গে এই কঠিন রাস্তা হেটে পার করব। সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলব আমরা’। করোনার মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভেঙে না পরে, আতঙ্কিত না হয়ে শক্ত হতেই এই পরামর্শ দিচ্ছেন শিল্পা।
ভারতের করোনা সঙ্কটে অক্সিজেনের ঘাটতি কমাতে শিল্পা যোগ দিয়েছেন ‘মিশন অক্সিজেন’-এ। অভিনেত্রী নিজে অর্থ দান করেছেন এবং নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই লিংক শেয়ার করে তার অনুগামীদেরও অনুরোধ করেছেন দান করার জন্যে। এই অর্থ করোনা রোগীদের জন্যে অক্সিজেন সরবরাহে কাজে লাগবে। ‘মিশন অক্সিজেন’এ বলিউডের একাধিক তারকা যেমন- বরুণ ধাওয়ান, তাপসী পান্নু, দিয়া মির্জা, নেহা ধুপিয়া, বিশাল দাদলানি, ইসা দেওল, ফারহান আকতার, মালাইকা আররা প্রমুখরা দান করেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.