নয়াদিল্লি: চাপে ছিলেন সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা। এই আবহে ভারতে বাড়তে থাকা টিকার চাহিদা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করল সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার তরফে আদর পুনাওয়ালা জানান, ভ্যাকসিন একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় উৎপাদন করতে হয়। রাতারাতি বাড়ানো যায় না। আর ভারতের বিশাল জনগণকে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারাটাও বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। তিনি চাহিদা যোগানের দিক থেকে সামঞ্জস্য নিয়েই বক্তব্য রেখেছিলেন। তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন পুনাওয়ালা।

Amongst multiple reports it is important that correct information be shared with the public. pic.twitter.com/nzyOZwVBxH

— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) May 3, 2021

ব্রিটেনে এক সাক্ষাত্কারে সিরাম কর্ণধার বলেছিলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই আমরা একটি বড় ঘোষণা করতে চলেছি।’ আদর দাবি করেন, জুলাই থেকে সিরাম ইন্সটিটিউটের তরফে প্রতিমাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করবে।তারপরেই ওঠে সমালোচনার ঝড়। তারপরেই বক্তব্য সম্পর্কে নিজের স্পষ্ট অবস্থান জানালেন।

করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ১ মে থেকে তৃতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের এদিন থেকে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র।একাধিক রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। তাদের কাছে ভ্যাকসিন নেই। ফলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ছে তারা। দিল্লি সরকার ঘোষণ করেছে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা নেই। প্রাইভেট কোম্পানির থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে তারা।

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই বলে ঘোষণা করেছে শিল্পনগরী মুম্বই। এই খবর জানিয়েছেন বৃহৎমুম্বইয়ের অতিরিক্ত পুর কমিশনার অশ্বিনী বিদে। তিনি টুইট করে বলেন, ” পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ না থাকায় আগামী ১ মে থেকে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের তৃতীয় দফার ভ্যাক্সিন প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।”

একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গেও। ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে রয়েছেন এমন মানুষদের ১ মে থেকে করোনা ভ্যাকসিন দিতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন লাগবে সেটা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে নেই। তাই সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.