বেঙ্গালুরু: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। এমতাবস্থায় মর্গ, শ্মশান গুলিতে উপচে পড়ছে মৃতের সংখ্যা। মর্গের বাইরেই পড়ে আছে মৃতদেহের সারি। শেষকৃত্যের জন্যে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিজনদের। একাধিক শ্মশানে শেষকৃত্যের জায়গা পর্যন্ত নেই। এমতবস্থায় শ্মশানের বাইরে ‘হাউসফুল’ সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ।

কর্ণাটকের চামরাজপেটের শ্মশানে এই ঘটনাটি ঘটেছে।শ্মশান কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ সৎকার করার জায়গার অভাবে শ্মশানের বাইরে ‘হাউস ফুল’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। যে ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অপরদিকে বেঙ্গালুরুর ১৩ টি ইলেকট্রিক চুল্লির বাইরেও ঝুলছে হাউসফুল নোটিশ বোর্ড। করোনায় হুহু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তার জন্যেই এমন অবস্থা বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।

জানা যাচ্ছে চামরাজপেটের শ্মশানে এদিন ২০ টি মৃতদেহ গেটের ভিতরে ঢুকিয়ে নিয়ে ‘হাউস ফুল’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কোভিডে মৃতদের সৎকারের জন্য বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে-কে (বিবিএমপি) শহরের পাশেই ২৩০ একর জমি দিয়েছে সরকার। মূলত করোনা মৃতদের দাহ কাজই হচ্ছে এই জায়গায়। তারপরেও শহরের শ্মশানে লাইন দেখা যাচ্ছে। যা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

কর্ণাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৬ লক্ষের গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১৭ জনের। তারমধ্যে ৬৪ জনই বেঙ্গালুরুর বলে জানা যাচ্ছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ হাজারের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুর শহরাঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৮১ হাজারের বেশি।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৪৭ জন। গত কয়েকদিন যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল সংক্রমণ, এদিনের সংখ্যা তার চেয়ে কিছুটা কম। রবিবারের তুলনায় কমেছে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও। সোমবারের রিপোর্ট বলছে মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪১৭ জনের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.