নয়াদিল্লি : করোনায় কাঁপছে দেশ। মারণ করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় রীতিমতো বিপর্যস্ত জনজীবন। দিন যত যাচ্ছে ততই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই অবস্থায় অদৃশ্য ব্যাধি করোনাকে দমিয়ে রাখতে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা একান্ত বাঞ্ছনীয়।
আর এই অবস্থায় দেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে করোনা বিধি মেনে চলার জন্য বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার আবশ্যক। তাই সর্বত্র হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আর এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চক্করে পড়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের এই দুর্দিনে ভাইরাল ওই ভিডিওটি দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন নেট জনতা।
গত শুক্রবার নিজের টুইটার পেজে মাত্র ৩৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন আইপিএস অফিসার দীপাংশু কোবরা।
ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি এটিএমের ভিতরে ঢুকছেন। সেখানে ঢোকার পর মেশিন থেকে টাকা আর স্লিপ তুলেও নিয়েছেন। কিন্তু তারপর এদিক সেদিক তাকিয়ে এটিএম লবিতে থাকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে নিয়ে নিজের ব্যাগে ভরে নিলেন।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ৩০ হাজার ভিউয়ার্স ছাড়িয়েছে গিয়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের বন্যা।
নেটিজেনদের কেউ কেউ আবার ভিডিওটি রিটুইট করে লোকটির এমন কাজকে নক্ক্যারজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। নেট জনতার অনেকেই জানিয়েছেন লজ্জার ব্যাপার। ভিডিওটি এতটাই ভাইরাল করে দেওয়া উচিত যাতে লোকটি ধরা পড়ে যায় কিংবা সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে লোকটিকে শনাক্ত করে জেলে ভরে দেওয়া দরকার পুলিশের।
অনেকে আবার লিখেছেন এসব মানুষ জীবনে শোধরাবে না। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজার চুরি করে ঘৃণ্যতম কাজ করেছেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তির জেল অথবা জরিমানার দাবিও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.