নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম, কেরল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুডুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে, জনগণের রায় এখন সকলের মধ্যেই স্পষ্ট।বিজেপি পুচুচেরি ও অসমে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারলেও বাংলায় তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তামিলনাড়ু ও কেরালাতে একেবারে ধরাশায়ী অবস্থা। তামিলনাড়ু এবং কেরালায় একটিও আসন পায়নি বিজেপি জোট ।

পশ্চিমবঙ্গ

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারলেও তাঁর প্রাক্তন সহযোগী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম আসনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয়েছেন। ভোট গণনায় নানা নাটকীয় মোড় নেওয়ার পর রবিবার রাতে নির্বাচন কমিশন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দল নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনী এলাকায় পুনর্গণনার দাবি তুলেছে।

পশ্চিমবঙ্গের টলিগঞ্জের আসন থেকে বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসের অরূপ বিশ্বাসের কাছে ৪৯ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গেছেন।বাবুল দুবারের সাংসদ। গায়ক থেকে রাজনীতিতে যোগ তার। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকে প্রতিমন্ত্রী।

রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ এবং সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত তারকেশ্বর আসনে ৭, ৪৮৪ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের রমেন্দু সিনহারের কাছে হেরে গেছেন।

হুগলির বিজেপি সাংসদ এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চ্যাটার্জীও চুঁচুড়া কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের অসিত মজুমদারের কাছে হেরেছে। ব্যবধান ছিল ১৮,৪১৭।

জেএনইউর প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর কর্মী ঐশী ঘোষ জামুরিয়া আসন থেকে হেরেছেন। তিনি জামুরিয়া কেন্দ্রের মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

অসম ও তামিলনাড়ু

অসম জাতীয় পরিষদের তারকা প্রার্থী এবং অল অসম ছাত্র ইউনিয়নের (এএএসইউ) প্রাক্তন সভাপতি লরিনজ্যোতি গোগোই দুটি আসনেই হেরেছেন।তিনি দুলিয়াজন ও নাহারকাটিয়া বিধানসভা উভয় আসনেই তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।

তামিলনাড়ুতে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ খুশবু সুন্দর ২৮০০০ এর বেশি ভোটে হেরেছেন। সুন্দর ২০২০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

টি.টি.ভি. ধিনাকরন, যিনি গত বছর দল থেকে বহিষ্কার হওয়া এআইএডিএমকে প্রাক্তন প্রধান শশীকলার কাছের মানুষ ছিলেন। আম্মা মাক্কাল মুন্নেত্র কাজগম (এএমএমকে) দলও গঠন করেছিলেন।তিনি একটিও আসন পাননি।

কেরালা

বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ই শ্রীধরণ, ‘মেট্রো ম্যান’ নামে খ্যাত, পলককাদ আসন থেকে ৩,৮৫৯ ভোটে হেরে গেছেন। শ্রীধরণ বিজেপির হয়ে শেষ মুহূর্তে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন।বিব্রতজনক পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক কে সুরেন্দ্রন।তিনি দুটো আসনেই হেরেছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.