কলম্বো: বয়স মাত্র বাইশ৷ দেশের হয়ে টেস্ট অভিষেকেই জ্বলে উঠলেন বাঁ-হাতি স্পিনার৷ অভিষেক টেস্টেই ১১টি উইকেট নিয়ে দলকে জেতালেন প্রবীন জয়াবিক্রমা৷ তরুণ এই স্পিনারের দুরন্ত পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ২০৯ রানে জিতে সিরিজ পকেটে পুরল শ্রীলঙ্কা৷ দলকে জিতিয়ে ম্যাচের সেরা ২২ বছরের তরুণ৷
সোমবার টেস্টের শেষ দিকে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল পাঁচ উইকেট৷ কিন্তু এর মধ্যে একাই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জেতালেন জয়াবিক্রমা৷ ফলে ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৭৮ রানে ১১ উইকেট৷ একই সঙ্গে দেশের হয়ে অভিষেকে সেরা পারফরম্যান্স জয়াবিক্রমার৷ এর আগে শ্রীলঙ্কার টেস্ট বোলার হিসেবে অভিষেকে সেরা পারফরম্যান্স ছিল একিলা ধনঞ্জয়ের৷ তিন বছর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই ৪৪ রানে ৮টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু এদিন ধনঞ্জয়কে ছাপিয়ে গেলেন জয়াবিক্রমা৷ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বোলারদের মধ্যে এটি ১০তম সেরা অভিযেক৷
এদিন নিজের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন দাসকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দেন জয়াবিক্রমা৷ মাত্র ১৭ রান করে তাঁর শিকার হন লিটন৷ তারপর বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ দু’টি উইকেট তুলে নেন জয়াবিক্রমা৷ মাত্র তিনটি ডেলিভারির ব্যবধানে শেষ দু’টি উইকেট তুলে নেন৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন তিনি৷ প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৯২ রানে ছ’ উইকেট৷
ম্যাচের সেরা অভিষেককারী জয়াবিক্রমা হলেও সিরিজের সেরা শ্রীলঙ্কান ক্যাপ্টেন দিমুথ করুণারত্নে৷ তিনটি ইনিংসে একটি ডাবল সেঞ্চুরি, একটি সেঞ্চুরি এবং একটি হাফ-সেঞ্চুরি নিয়ে তাঁর সংগ্রহে ৪২৮ রান৷ ম্যাচ সিরিজ জিতে লঙ্কান ক্যাপ্টেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলে অভিজ্ঞ বোলার নেই৷ কিন্তু জয়াবিক্রমা ও মেন্ডিস অভিজ্ঞ বোলারদের মতো বোলিং করেছে৷ প্রবীন তারুণ বোলিং করেছে৷ মনে হচ্ছিল, ও এর আগে ১০টি প্রথমশ্রেণির ম্যাচ খেলোর অভিজ্ঞতা রয়েছে৷’
করুণারত্নে আরও বলেন, ‘আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য ভালো দিক৷ সিনিয়ররা ওদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে৷ কোনও কোনও খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেটে এসে নার্ভাস থাকে কিন্তু প্রবীনের মধ্যে কোনও চাপ ছিল না৷’ ৪৩৭ রান তাড়া করে দুই শ্রীলঙ্কার স্পিনারের সামনে ২২৭ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস৷ চার উইকেট নেন অফ-স্পিনার রমেশ মেন্ডিস৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.