নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অবস্থা দুর্বিষহ। নেই ঠিকমতো অক্সিজেন ও ভ্যাকসিন। এই পরিস্থিতিতে এই দুই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামর জন্য কেন্দ্রকে যৌথ বিবৃতি দিল বিরোধীরা। রবিরারের ওই বিবৃতিতে দেশজুড়ে সমস্ত হাসপাতালগুলিতে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। তার পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য মাস ভ্যাকসিনেশন চালু করার কথাও বলেছেন বিরোধীরা।

শনিবার দিল্লির অন্যতম সেরা বেসরকারি হাসপাতাল বাত্রা হাসপাতালে ১২ জন করোনা রোগী ও চিকিৎসক মারা যান। তাঁদের অবস্থা ছিল গুরুতর। অক্সিজেনের অভাবেই তাঁরা মারা যান। এরপরই প্রতিটি বিরোধী দলের তরফে রবিবার এই বিবৃতি জারি করা হয়। ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইড ডি দেদগৌড়া, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার, বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী, ডিওমকে চিফ এম কে স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপির ডি রাজা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তেজস্বী যাদব।

বিবৃতিতে দেশের সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যেন অবিলম্বে সারা দেশে একটি বিনামূল্যে মাস ভ্যাকসিনেশন চালু করে। টিকা কর্মসূচির জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা প্রয়োজন। এই টাকা টিকাকরণের জন্য ব্যবহৃত হবে।

রবিবার অক্সিজেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভাপতিত্ব করেন শিল্প ইউনিটগুলি থেকে অক্সিজেন সরবরাহের কথা বলেন। এর পাশাপাশি প্রয়োজন মতো অক্সিজেন বেড বাড়ানোর কথাও বলেন। অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতির কারণে শনিবার বাত্রা হাসপাতালে মৃত্যু ছাড়াও একাধিক মৃত্যু দেখেছে দেশ। আগে জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে ২০ জন এবং দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ২৫ জন রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন। দিল্লিতে অক্সিজেন সংকট এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে ইস্যুটি গড়িয়েছে হাই কোর্ট পর্যন্ত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.