আক্রান্ত কেকেআরের দুই ক্রিকেটার
কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং ফাস্ট বোলার সন্দীপ ওয়ারিওরের কোভিড ১৯ টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে কেকেআরের আজকের ম্যাচ। দলের বাকি সদস্যের কোভিড ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও আরও একবার করে প্রত্যেকেরই করোনা টেস্ট করা হয়েছে।
এর আগেও করোনা আক্রান্ত একাধিক ক্রিকেটার
চলতি আইপিএল শুরু হওয়ার আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কেকেআরের বাঁ-হাতি ওপেনার নীতীশ রানা। বিধি মেনে কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করে দলের অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির ক্রিকেটার। দিল্লি ক্যাপিটালসের অল রাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ওপেনারের কোভিড ১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থাকার পরেই নিজ নিজ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন দুই ক্রিকেটার। তা সত্ত্বেও আইপিএল শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সূচি মেনে। এবং চলছে জোরকদমে। কোনও অবস্থাতেই টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছে বিসিসিআই।
আইপিএল ছাড়া ধুম
ইতিমধ্যে ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব লাগামছাড়া হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে রাস্তাঘাটে পড়ে থেকে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিন অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার। তাঁরা দেশে ফিরে গিয়েছেন। আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। পরিস্থিতি এমন যে ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাঙা করতে বিদেশ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করছে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিদেশি ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠান এই দুঃসময়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইপিএল বন্ধের পক্ষে অনেকে
দেশের একাংশের বক্তব্য, যেখানে একবিন্দু অক্সিজেনের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত, সেখানে হাজার কোটি টাকার ক্রিকেট লিগ আয়োজন করা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়। জেদ ছেড়ে দেশের মানুষের কথা ভেবে বিসিসিআই-এর অবিলম্বে আইপিএল বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
আইপিএল চলার পক্ষে অনেকে
দেশের অন্য অংশের বক্তব্য, বিভিন্ন প্রান্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হতাশা এবং খারাপ খবরের মধ্যে তবু তো মানুষের মনে দুদণ্ড বিনোদনের আলো জ্বালাচ্ছে আইপিএল। তাছাড়া এই টুর্নামেন্ট দেশের বহু মানুষের ঘরে অর্থের সংস্থান ঘটাচ্ছে বলেও অনেকের মত। সেই সব গরিব মানুষের জন্য আইপিএল চালু থাকা উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ বন্ধ হোক, তা হয়তো চায় না সরকাও। কারণ আইপিএল থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের খাতে যে রাজস্ব আদায় হয়, তা নেহাতই কম নয়। করোনা কালে স্তব্ধ হয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙা করতে সেই অর্থের মূল্য বিরাট।