ভিডিও কলে কথা
নাইট শিবিরের দুই ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হতেই আজকের কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। দলের অন্দরমহলের খবর নিতে এদিনই ভিডিও কলে সকলের সঙ্গে কথা বলেন নাইট কর্ণধার শাহরুখ খান। সমস্ত বিষয়েরই খোঁজখবর নেন। ভিডিও কলে দলের চিকিৎসকও ছিলেন। আইপিএল ও বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম, নিজেদের চিকিৎসকরা ও অন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই কঠোর সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইসোর।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
কঠোর নিভৃতবাস
জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেও দুই ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লেও উদ্বেগ নেই নাইট শিবিরে। নিভৃতবাস আরও কঠোর করা হয়ছে বলে কেকেআরের তরফে জানানো হয়েছে। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে পাঁচদিনের কোয়ারান্টিন। মাইসোর জানান, এই পরিস্থিতির সঙ্গে এখন সড়গড় হয়ে উঠেছেন সকলেই। ঘরের মধ্যেই থাকছেন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। দরজা নক করে খাবার দরজার সামনে রেখে যাওয়া হচ্ছে, তা সকলে নিয়ে নিচ্ছেন।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
আক্রান্তদের আপডেট
বরুণ চক্রবর্তীর রিপোর্ট প্রথমে পজিটিভ এসেছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই সন্দীপ ওয়ারিয়রের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অন্য ফ্লোরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর সন্দীপের আজ জ্বর নেই, উপসর্গও নেই। তবে বরুণ চক্রবর্তীর উপসর্গ রয়েছে। তবে মানসিকভাবে তাঁরা চাঙ্গাই রয়েছেন। দলের স্পিরিটও ভালোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেকেআর সিইও।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
বিশেষ ব্যবস্থা
পাঁচদিন কোয়ারান্টিনে রয়েছে দল। আজ নিয়ে দুই দিন হয়ে গেল। ৬ তারিখ অবধি এভাবে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে সকলকে। প্রতিদিনই সকলের করোনা পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা হয়েছে। এমন সময়ে নমুনা নেওয়া হচ্ছে যাতে ঘুম থেকে উঠেই সকালের দিকে রিপোর্ট জানা যায়। এমনকী ৬ মে সকালের দিকে রিপোর্ট এলে যদি দেখা যায় কোনও সমস্যা নেই তাহলে ওইদিন বিকেলেই অনুশীলনে নেমে পড়বেন নাইটরা। ৮ মে আমেদাবাদেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ফলে ৭ তারিখও অনুশীলনের সময় পাওয়া যাবে। ব্যস্ত শেডিউলের মধ্যে এই কোয়ারান্টিনে থাকাকে তাই আশীর্বাদও মনে করছে নাইট শিবির।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)
মিশন প্লে অফ
আইপিএলে এখনও অবধি দুটি ম্যাচে জিতেছে কেকেআর, হার পাঁচটিতে। ভেঙ্কি মাইসোর সমর্থকদের উদ্বিগ্ন হতে বারণ করছেন ২০১৪ সালের উদাহরণ টেনে। তাঁর কথায়, সেবারও আইপিএলের মাঝামাঝি ঠিক এই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে ছিল কেকেআর। তারপর শুধু প্লে অফে যোগ্যতা অর্জনই করেনি, ট্রফিও জিতেছিল।
(ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল)