আমস্টারডাম: কোভিডের প্রকোপ এড়াতে বিধিনিষেধ এখনও চালু রয়েছে নেদারল্যান্ডসে। রাজধানী আমস্টারডাম শহরের রাস্তায় নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে একসঙ্গে দু’জনের বেশি কথা বলার উপরে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অথচ ২০১৮-১৯ মরশুমের পর শহরের ক্লাব আয়াক্স ফের ডাচ লিগের শিরোপা ঘরে তুলছে, তাই আমস্টারডামের রাস্তায় আয়াক্স সমর্থকদের উদযাপনের সম্ভাবনা ছিলোই। আর তা আঁচ করে প্রশাসন থেকে জারি করা হয়েছিল আগাম সতর্কতা। ঘরে বসেই সমর্থকদের সেলিব্রেট করতে বলা হয়েছিল প্রিয় দলের জয়।
কিন্তু কোথায় কী? প্রশাসনের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবিবার আমস্টারডামের রাস্তায় উপচে পড়ল আয়াক্স সমর্থকদের ভিড়। প্রিয় ক্লাবের ৩৫তম লিগ জয় সেলিব্রেট করতে কাতারে-কাতারে সমর্থক ভিড় জমালেন আমস্টারডামের জোহান ক্রুয়েফ স্টেডিয়ামের বাইরে। হাতে প্রিয় দলের পতাকা, আতসবাজি নিয়ে রবিবার রাজধানীর রাস্তার দখল নিলেন আয়াক্স সমর্থকেরা। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ মেলেনি এখনও, স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় দলের খেতাব জয়ের সেলিব্রেশনে সেই আক্ষেপ যেন সুদে-আসলে পুষিয়ে নিলেন তারা।
দলের ফুটবলাররাও স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হওয়া সমর্থকদের নিরাশ করেননি। খেতাব হাতে ব্যালকনিতে এসে সমর্থকদের আরও তাতিয়ে দেন ডেভি ক্লাসেন, সেবাস্তিয়ান হ্যালাররা। প্রিয় ফুটবলারদের দেখে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে সমর্থকদের। রাস্তা থেকে স্টেডিয়ামের ব্যালকনির দেওয়াল বেয়ে উঠে তারকাদের একবার ছোঁয়ার চেষ্টায় ছিলেন অনুরাগীরা। উল্লেখ্য, তিন ম্যাচে বাকি থাকতেই রবিবার এফসি এমেন’কে হারিয়ে খেতাব জয় নিশ্চিত করেছে আয়াক্স। ৩১ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে থাকা পিএসভি’র ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে তারা।
এফসি এমেন’কে রবিবার ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি। আর খেতাব জয় নিশ্চিত হতেই জোহান ক্রুয়েফ স্টেডিয়ামের বাইরে ধরা পড়ে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং উপেক্ষা করে সমর্থকদের দেদার সেলিব্রেশনের ছবি। ঠিক একই ঘটনা রবিবার ঘটে ইতালির মিলানেও। সেখানে ১১ বছর বাদে ইন্টার মিলানের সিরি-এ খেতাব জয় উদযাপন করতে করোনা-বিধি শিকেয় তুলে সেলিব্রেশনে মাতেন সমর্থকেরা। জুভেন্তাসের টানা ন’বার খেতাব জয়ের সাফল্যে দাড়ি টেনে ২০০৯-১০ পর ফের ইতালি সেরা হল ইন্টার মিলান। এই নিয়ে ১৯ বার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.