১৯৮৪ সালের মমতার সাংসদ হিসেবে পদচারণা শুরু
মমতা বন্দ্য্যোপাধ্যায় তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হেভিওয়েট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে। ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর থেকে জয়লাভ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিলেন সবথেকে কম বয়সী সাংসদ হিসেবে। সেই শুরু মমতার সাংসদ হিসেবে পদচারণা। এই বছরই তিনি ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হয়ছিলেন।
১৯৮৯ সালের নির্বাচনে প্রথম হারের সাধ পান মমতা
কিন্তু তাল কেটেছিল ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে। তিনি প্রবল কংগ্রেস বিরোধী হাওয়ায় সেবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছিলেন। সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে তাঁকে হার মানতে হয়েছিল সেবার। তবে দুবছর পরেই ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি দক্ষিণ কলকাতা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন কংগ্রেসের টিকিটে।
সাতবারের সাংসদ, দুবারের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তারপর থেকে পরপর পাঁচটি লোকসভা নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে তিনি সাংসদ হন। অর্থাৎ ১৯৮৪ থেকে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে সাতবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করার পর তিনি সাংসদ পদ ছেড়ে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়ে দ্বিতীয় হার
ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই দু-বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি ২০১১ ও ২০১৬ সালে। দুবারই জয়যুক্ত হন তিনি। এবার তিনি কেন্দ্র বদল করে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। অধিকারী গড়ে গিয়ে প্রার্থী হলেও সাফল্য পেলেন না। এই প্রথম বিধানসভাব নির্বাচনে তিনি পরাজিত হলেন। মাত্র ১৭০০ ভোটের ব্যবধানে তাঁর জয়রথ থামিয়ে দিলেন শুভেন্দু। জীবনের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে হারলেন মমতা।