মিলান: ক্রোতনে’কে শনিবার ২-০ গোলে হারাতেই কার্যত চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল তারা। অপেক্ষা ছিল রবিবার আটালান্টা-সাসৌলো ম্যাচের। ওই ম্যাচে কোনওভাবে আটালান্টা পয়েন্ট খোয়ালেই খেতাব নিশ্চিত ছিল ইন্টার মিলানের। অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হল না। রবিবার সাসৌলোর বিরুদ্ধে আটালান্টা আটকে যেতেই ১১ বছর বাদে সিরি-এ খেতাব জয় নিশ্চিত হল ইন্টার মিলানের। আর খেতাব জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙল সমর্থকদেরও।
চার ম্যাচ বাকি থাকতে দ্বিতীয়স্থানে থাকা আটালান্টার সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব তৈরি করে খেতাব জয় নিশ্চিত করল অ্যান্তোনিও কোন্তের ছেলেরা। গত ন’বার সিরি-এ’তে জুভেন্তাসের একচ্ছত্র আধিপত্যে অবশেষে থাবা বসাল ইন্টার। এই নিয়ে ১৯ বারের জন্য ইতালি সেরার শিরোপা জিতল ইন্টার। এর আগে ২০০৯-১০ জোসে মোরিনহোর প্রশিক্ষণে শেষবার সিরি-এ সহ কোপা ইতালিয়া এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, অর্থাৎ ত্রিমুকুট জিতেছিল ইন্টার।
এক দশকেরও বেশি সময় বাদে প্রিয় ক্লাব ইতালি সেরা হতেই শহরের প্রাণকেন্দ্র পিয়াজ্জা দুমো’তে ভিড় জমাতে থাকেন হাজার-হাজার অনুরাগী। কোভিডের সংক্রমণ এড়াতে ক্লাবের তরফ থেকে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে বলা হলেও সে কথার তোয়াক্কা করেননি সমর্থকরা। করোনা-বিধি শিকেয় তুলে মিলান শহরের প্রাণকেন্দ্র পতাকা, আতসবাজির রোশনাইয়ে ভরে ওঠে। মার্চের শেষদিকে ইতালিতে কোভিড সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছনোর কারণে জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ ছিল এতোদিন। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এদিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইন্টার মিলান ফ্যানেদের খেতাব জয় উদযাপন চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।
শনিবারই দেশে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা সংক্রামিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২২৬ জনের। ওইদিনই ক্রোতনে’কে অ্যাওয়ে ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন এবং আশরাফ হাকিমির গোলে হারিয়ে খেতাবের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ইন্টার। একইসঙ্গে জুভেন্তাসকে ছিটকে দিয়েছিল খেতাবি লড়াই থেকে। যদিও রবিবার পিছিয়ে পড়েও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জোড়া গোলে উদিনেসে’কে হারাল জুভে। একইসঙ্গে আগামী মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জনের প্রশ্নে দৌড়ে ভালোভাবেই রইল তারা।
কারণ জয়ের ফলে ৩৪ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এলেন রোনাল্ডোরা। সমসংখ্যক ম্যাচে ইন্টারের পয়েন্ট সংখ্যা ৮২।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.