কমিশনের সাহায্যেই বেড়েছে বিজেপির আসন! কত আসন পেত গেরুয়া শিবির, বললেন 'স্ট্রিট ফাইটার' মমতা

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) নিশানায় নির্বাচন কমিশনই। নির্বাচন চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে বিজেপির (bjp) মুখপাত্র বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (election commission) সাহায্য ছাড়া বিজেপি এতদূর পৌঁছাতে পারত না।

নির্বাচন কমিশনকে নিশানা

নির্বাচন কমিশনের এবারের ব্যবহার ছিল ভয়াবহ, মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, এসব সত্ত্বেও তিনি নিশ্চিত ছিলেন, দলের আসন সংখ্যা ২০০ পার করে যাবে। তা হয়েওছে। স্ট্রিট ফাইটার হওয়ার কারণে তিনি নিশ্চিত ছিলেন, আসন সংখ্যা নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গাতেই ইভিএম-এ কারচুপি করা হয়েছে এবং অনেক পোস্টাল ব্যালট বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, শুধু বাংলাই বাঁচেনি, দেশও বেঁচেছে।

নন্দীগ্রামে হার নিয়ে মমতা

নন্দীগ্রামে খুব সামান্য ভোটে পরাস্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও আবার দীর্ঘদিনের সহকর্মীর কাছে। তবে এই হার নিয়ে তিনি বলেছেন, সেখানে গণনায় কারচুপি করা হয়েছে। সেই জন্যই তারা পুনরায় ভোট গণনার দাবি করেছেন। ভোটের দিন তিনি ভোট কেন্দ্রের বাইরে বসেছিলেন, কেননা সেখানে কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। তবে তিনি কি আদালতে যাচ্ছেন এই ফলের জন্য, উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আপাতত পুনর্গণনার দাবি করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, পোস্টার ব্যালট এবং ভিভিপ্যাট আবার গণনা করতে হবে। সত্য সামনে আসা প্রয়োজন, বলেছেন তিনি।

প্রত্যেকটি আসনই তাঁর আসন

নন্দীগ্রামে লড়াই করা নিয়ে তাঁর কোনও আপসোস নেই। কেননা তিতি ভীত নন। প্রত্যেকটি আসনই তাঁর আসন। তিনি ঝুঁকি নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নির্বাচন কমিশন এবং নন্দীগ্রামে কমিশন নিযুক্ত স্থানীয় প্রশাসনের নির্যাতনের শিকার। নির্বাচন কমিশনের সাহায্য ছাড়া বিজেপি ৫০টি আসন পেত না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আর পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, স্ট্রিট ফাইটার হওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

সবার জন্য ভ্যাকসিন চাই

এই মুহূর্তে তাঁর প্রথম কাজ হল করোনার সঙ্গে লড়াই করা। সেই কারণে বিজয় মিছিল না বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছএন, কেন্দ্রকে সবার জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বরাদ্দ করতে হবে। যদি কোনও মূর্তির জন্য ৩০০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়, তাহলে কেন, দেশের মানুষ ফ্রি ভ্যাকসিন পাবে না, প্রশ্ন করেছেন তিনি।

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।