মেলবোর্ন: অ্যান্ড্রু টাই, কেন রিচার্ডসন, অ্যাডাম জাম্পারা ফিরে এসেছেন আগেই। আইপিএলে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সঙ্গে যুক্ত বাকি অজি ক্রিকেটাররা ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতেও ভারতে রয়ে যাওয়ায় হতবাক মার্ক টেলর। প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন স্টিভ স্মিথের সিদ্ধান্তে।
মার্ক টেলরের কথায়, স্টিভ স্মিথকে দিল্লি ক্যাপিটালস যে অর্থে দলে নিয়েছে তা নেহাতই সামান্য। আর সেই অর্থের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্মিথের ভারতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুব্ধ তিনি। ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ২০২১ আইপিএলের নিলামে স্মিথকে দলে নিয়েছে দিল্লি। যা সেদেশের মুদ্রায় ৩,৫০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। স্মিথের মত ক্রিকেটার এত কম অর্থের জন্য ভারতে থেকে যাওয়ায় যারপরনাই অবাকও হয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ডিরেক্টর।
চ্যানেল ৯-কে এই প্রসঙ্গে টেলর জানিয়েছেন, ‘স্টিভ স্মিথের চুক্তি অর্থ ৩,৫০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। যা একেবারে কম না হলেও স্টিভ স্মিথের জন্য এমন বড় কিছুও নয়। এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থে ওঁর চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা। আমি অবাক এই টাকা পেয়েও ও ভারতে থেকে যাওয়ায়।’ তবে প্যাট কামিন্স যে অর্থ তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের থেকে পাচ্ছেন, তাতে কামিন্সের এই মুহূর্তে ভারতে আইপিএল খেলার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
টেলর বলেছেন, ‘আমি বেশ অবাকই হয়েছি বেশ কয়েকজনকে ওখানে রয়ে যেতে দেখে। তবে প্যাট কামিন্সের কথা যদি বলতে হয় তাহলে বলব ওঁর পক্ষে ফিরে আসাটা সহজ নয়।’ উল্লেখ্য, কলকাতা নাইট রাইডার্স সাড়ে ১৫ কোটি টাকায় ২০২০ আইপিএলে দলে নিয়েছিল কামিন্সকে।
মার্ক টেলরের যুক্তি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যখন আইপিএলে’র জৈব বলয়েও সংক্রামিত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সোমবার কলকাতা-ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের আগে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির দুই ক্রিকেটারের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় হুলুস্থূল পড়ে যায়। সোমবারের ম্যাচটির ওপর স্থগিতাদেশ নেমে আসে। অনতিপরে চেন্নাই সুপার কিংস সিইও, বোলিং কোচ এবং টিম বাস কর্মীর করোনা আক্রান্তের খবর আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.