চিনের বিমানে সরঞ্জাম পৌঁছাল ভারতে
কোভিড-যুদ্ধে সহায়তার অঙ্গ হিসেবে রবিবার ভারতে প্রায় ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও ৫০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাল তাইওয়ান। চিনা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৪৭ বিমানের মাধ্যমে নয়াদিল্লিতে সাহায্য পাঠায় তাইওয়ান। ভবিষ্যতে তাইপেই থেকে আরও সরঞ্জাম পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে তাইওয়ান সরকার।
সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও সাহায্য
তাইওয়ান ও ভারতের যোগসূত্রের জন্যই যে এহেন কর্মযজ্ঞ সম্ভব হল, তা বিবৃতি মারফত জানিয়েছে তাইপেই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিইসিসি)। তাইওয়ান ও ভারতের মধ্যে সরাসরি কোনোরকমের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও এভাবে পাশে থাকার নিদর্শনে অভিভূত ভারত। ভারতকে বন্ধু হিসাবে দেখার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যে তাইওয়ান আরও সাহায্য করার উদ্যোগ নিচ্ছে, সে বিষয়ে টুইটে জানিয়েছেন তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোসেফ উ।
'সাহায্য' নয়, 'আমদানি'-তেই ভরসা
ইতিমধ্যে চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই ভারতকে সাহায্যের বার্তা পাঠালেও তা পারতপক্ষে নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তবে সাহায্য না নিলেও বাণিজ্যপথে আমদানির ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ভারত। ইতিমধ্যেই চিনের সংস্থাগুলিকে প্রায় ৪০,০০০ অক্সিজেন উৎপাদক যন্ত্র উৎপাদনের বরাত দিয়েছে ভারতীয় সংস্থারা, খবর চিনের জাতীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস সূত্রে।
দেশে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ৩ লক্ষ পেরোল,মৃত্যুর সংখ্যায় সামান্য পতন, একদিনে আক্রান্ত কত জেনে নিন
চিনা সাহায্যের 'হিসাব' দিলেন চৈনিক দূত সান
"ভারতের চাহিদা সময়ে মেটানোর জন্য প্রতিমুহূর্তে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে চিন", এমনই মত চৈনিক দূত সান ওয়েইডংয়ের। অন্যদিকে গত ২ সপ্তাহে টুইটারে চৈনিক সাহায্যের ঢালাও হিসাব দিয়েছেন সান। "ইতিমধ্যেই প্রায় ৬১টি বোঝাই বিমান চিন থেকে ভারতে উড়ে গেছে", মত সানের। পাশাপাশি ওয়েইডংয়ের বক্তব্য, "গত এপ্রিল থেকে চিন ভারতে প্রায় ৫,০০০ ভেন্টিলেটর, ২১,৫৬৯ অক্সিজেন উৎপাদক যন্ত্র, ২.১ কোটি মাস্ক ও ৩,৮০০ টন ওষুধ পাঠিয়েছে"।