নয়াদিল্লি: বাংলায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে লাগামহীন হিংসা। একের পর এক বিজেপি কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, খুন হচ্ছেন একের পর এক বিজেপি দলীয় কর্মী-সমর্থক। সোমবার রাত পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ৫ মে, অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণের দিনে দেশজুড়ে ধর্নার ডাক দিয়েছে বিজেপি।
The BJP has announced a nationwide dharna on 5th May against the widespread violence unleashed by TMC workers post the election results in West Bengal.
This protest will be held following all Covid protocols across all organisational mandals of the BJP.
— BJP (@BJP4India) May 3, 2021
একের পর এক হিংসার ঘটনায় উদ্বেগে আছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্যে এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে আক্রমণ প্রতিহত করা যায় তা নিয়ে তিনি রাজ্যে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। নিহত সমর্থকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষদের শান্তি বজায় রাখার আর্জি জনিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “হিংসা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোভিড অতিমারীর সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। শান্ত থাকুন ,অভিযোগ থাকলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের। বিজেপি, কেন্দ্রিয় বাহিনী যদিও অনেক অত্যাচার করেছে ।”
নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর । কেন নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুঠতরাজ হচ্ছে সেটা রাজ্যপাল তাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। এবং রাজ্যে শান্তি পুনঃস্থাপিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রাজ্যপালের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও নতুন সরকার দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকেই রাজ্যের দায়িত্ব সামলাতে বললেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ৫ মে সাড়ে এগারোটার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।করোনার জন্য এই অনুষ্ঠানে জনসমাগম হবে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.