কলকাতা: দেশে হুহু করে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আগের থেকে অনেক কম সময়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে বলে ভাইরাসের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ হিসেবে জ্বর, সর্দি-কাশি এবং ক্লান্তি দেখা মেলে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে সব জ্বর, কাশি মানে করোনা এই ধারণা ভুল। অনেক সময় সাধারণ ফ্লু থেকেও এগুলি দেখা দিতে পারে।

করোনা সংক্রমিত অনেক রোগী বাড়িতে সুস্থ্য হয়ে উঠছে। অন্যদিকে অক্সিজেন কমে যাওয়ার অনেককে যেতে হচ্ছে হাসপাতালের দরজায়। তবে উভয় ক্ষেত্রের মানুষের মধ্যে একটা লক্ষণ দেখা দিচ্ছে বারবার, আর সেটা ক্লান্তি। করোনা থেকে রেহায় মিললেও মিলছে না ক্লান্তি থেকে মুক্তি। অনেকে সংক্রমিত থেকে সুস্থ্য হওয়া রোগী জানাচ্ছেন তাদের শরীরে অনেক মাস ধরে থেকে যাচ্ছে ক্লান্তি ভাব। কিছু কাজ করতে গেলে সেই ক্ষমতাও মিলছে না। তবে কিছু নির্দিষ্ট্য বিষয় খেয়াল রাখলে মুক্তি মিলতে পারে ক্লান্তি ভাব থেকে।

১. করোনা হলে ক্লান্তি থেকে যাচ্ছে অনেক মাস। কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। তবে এগুলো থেকে এড়িয়ে চলতে হবে সংক্রমণ থেকে সুস্থ্য ব্যক্তিদের। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন সুস্থ্য হওয়ার পর বাড়ির অন্দরে অল্প হলেও হাটতে হবে। এর পাশাপাশি চেয়ারে খালি বসে না থেকে, পায়ের ব্যাম করা যেতে পারে। অন্যদিকে এই সময় অক্সিজেনের নানা সমস্যা দেখা মিলছে, সেই কারণে বিভিন্ন নিঃশ্বাসের ব্যাম করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকমহল।

২. অ্যামেরিকার বেশকিছু গবেষক জানিয়েছে সূর্যের আলোতে মৃত্যু হয় করোনা ভাইরাসের। যদিও এর সত্যতা বিচার করা হয়নি। তবে চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী করোনা সংক্রমিত থেকে সদ্য সুস্থ্য হওয়া রোগীদের বসা উচিত রোদে। খুব সকালে হালকা হালকা রোদে কম করে হলেও ২০ মিনিট বসলে মিলতে পারে আরাম।

৩. করোনা আক্রান্ত রোগী ঘনঘন ঘুমিয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। তবে সংক্রমিত রোগী সুস্থ্য হয়ে গেলে করতে হবে এর ঠিক উল্টোটা। করোনা থাকে মুক্তি মিললেও বেশকিছু মাস মুক্তি মেলেনা ক্লান্তি থেকে। সেই কারণে বাড়িতে রাতে ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া উচিত। এর পাশাপাশি রাতে একটানা ভালো করে ঘুমিয়ে সকালে উঠে ব্যাম করলে মিটতে পারে ক্লান্তি।

৪. করোনা একটি উপসর্গের তালিকায় রয়েছে পেটের সমস্যা। সেই কারণে সংক্রমিত রোগীদের বেশি ঝাল, মশলা খাবার দিতে বারণ করা হচ্ছে। এর বদলে সিদ্ধ খাবার দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকেরা। ঠিক একই ভাবে সদ্য ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তেল-মশলা তরকারী না দিয়ে হালকা মাছের ঝোল দেওয়া যেতে পারে।  কারণ এই সময়ে হজম শক্তি কমে যায়। এর পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখা যেতে পারে খিচুড়ি, স্যুপ এবং বিভিন্ন শাক-সব্জিগুলি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.