ঢাকা: করোনা সংকটের মাঝে বড়সড় নৌ দূর্ঘটনা বাংলাদেশে। পদ্মা নদীতে বালি বোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিড বোটের ধাক্কায় বহু যাত্রীর ডুবে মারা যাওয়ার আশঙ্কা। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

ঘটনাস্থল মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট। এখানে বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরনো কাঁঠালবাড়িঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর ছড়িয়ে পড়তেই পদ্মায় নামে উদ্ধারকারী দল। পরপর দেহ তুলে আনা হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিড বোট বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পুরনো কাঁঠালবাড়িঘাটের কাছাকাছি ওই স্পিড বোটের সঙ্গে বালি বোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। স্পিডবোটটি উল্টে যায়। যাত্রীরা তলিয়ে যান। কয়েক জন সাঁতরে রক্ষা পেয়েছেন। অন্তত ২২ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

ওই স্পিড বোটে কত জন যাত্রী ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেমন নিয়মিত নৌ পরিবহণ হয়, এই স্পিড বোটে তেমনই অতিরিক্ত যাত্রী ছিলেন। কাঁঠালবাড়ি নৌ পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডুবে যাওয়া যাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধার করার কাজ চলছে। তিন শিশু ও এক মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন।

নৌ দুর্ঘটনা বাংলাদেশে হয়েই থাকে। জলপথে যাত্রী পরিবহণ দেশে বিরাট। তবে পরিকাঠামোর বিস্তর অবহেলা। যাত্রী পরিবহণের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠলেও এই বিষয়ে সরকার ও পরিবহণ সংস্থাগুলি উদাসীন বলেই অভিযোগ। বিশেষ করে ঈদের সময় যাত্রী পারাপার ভয়াবহ আকার নেয়। থিকথিকে ভিড়ে প্রবল ঝুঁকিবহুল জলপথ পরিবহণের জেরে প্রায়ই বড়সড় দুর্ঘটনা হয়।

মাদারীপুরে বাল্কহেড ও স্পিড বোটের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার হওয়া পাঁচ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.