এমন অদ্ভুত কাহিনী আগে হয়তো শোনেননি। কিন্তু এটা সত্যিই হয়েছে তা পুলিশরা নিজেরাই দেখেছেন।

যে ফ্ল্যাটে এই মহিলা থাকতেন সেই ফ্ল্যাটের মেইনটেনেন্স ফি, নতুন ছাদের জন্য অতিরিক্ত খরচ, জলের খরচ এবং ফ্ল্যাটের অন্যান্য বিল নিয়মিতভাবে নাকি পরিশোধ করা হচ্ছিলো। কিন্তু সেই মহিলা নাকি মারা গেছেন ১৫ বছর আগেই।

তারপরও তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যেতো প্রতি মাসে এইসব টাকা মেটানোর জন্যে। মহিলার নাম ইসাবেলা রিভেরা।

ওই অ্যাকাউন্টেই নাকি তার পেনশনের টাকা নিয়মিতভাবে জমা হতো। আজব কথা হলো যে ১৫ বছর ধরে তার মৃত্যুর খবর প্রতিবেশিরা কেউ নাকি টের পায়নি।

আরো পোস্ট- কফিনে বন্দি দেহ, নাড়াচাড়া করে এই কফিন

স্পেনের মাদ্রিদের সিউদাদ লিনিয়েল জেলায় ঘটেছে এই বিস্ময়কর ঘটনা। পরে পুলিশ ওই নারীর ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে তার মমি হয়ে যাওয়া দেহটি উদ্ধার করেছিল।

ওই নারীর এক ভাইয়ের মেয়ে পুলিশকে তার পিসির অদৃশ্য হওয়ার বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ সেই বাড়ি যায়। দরজাটি ভেতর থেকে লাগানো থাকায় ফলে ব্যালকনি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ উদ্ধারকর্মীরা।

ধারণা করা হয়, স্নান করার সময় বাথরুমেই নাকি মারা গেছিলেন তিনি। এরপর ১৫ বছর ধরে সেখানেই দেহ পড়ে থেকে ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মমিতে রুপান্তরিত হয়ে গিয়েছিলো। বাথরুমের তাপমাত্রার জন্যে দেহ মমিতে রুপান্তরিত হয়।

মৃত্যুর চার-পাঁচ বছর আগের ওই মহিলার সঙ্গে জুয়ান মোলিনা মুনোজ নামের এক ডিভোর্সী নারী সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। এক পর্যায়ে মোলিনা ওই অ্যাপার্টমেন্টের কমিউনিট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নেন।

এসময় প্রতিবেশিদের সঙ্গে তাদের নাকি অল্প বিবাদ হয়। তাই তারা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। মোলিনার মৃত্যুর পর রিভেরা একা হয়ে পড়েন ও মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন।

২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে সর্বশেষ সামনে থেকে দেখে সেখানকার মানুষ। তিনি মারা যাওয়ার আগে তার দারোয়ান ডন অ্যান্টোনিওকেও তার চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.