মুম্বই: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে আজ। বিগত কয়েক মাস ধরে প্রায় নিত্য যাতায়াত করে করোনাকে উপেক্ষা করেই দিল্লি থেকে বারবার পশ্চিমবঙ্গে উঠে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রোড শো থেকে শুরু করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ প্রচারে কোনরকম কমতি রাখেননি গেরুয়া শিবির। কিন্তু এত কিছুর পরেও শেষ হাসি হাসলো তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে জয়ী তৃণমূল সরকার। বাংলা রায় ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’।
এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল আর টুইট দেবী টুইট করবেন না তা কি করে হয়। আমরা কথা বলছি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত এর। কয়েকদিন আগেই যিনি একটি অদ্ভুত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন করোনা মোকাবিলার জন্য। অক্সিজেন সিলিন্ডার এর ঘাটতি মেটাতে কঙ্গনা রানাওয়াত বলেছিলেন গাছ লাগাতে।
আসলে, নেটিজেনরা বলে কঙ্গনা নিজেই নাকি নিজের কাছে জ্ঞানের সাগর।ভারতের অর্থনীতি হোক বা নাসার নতুন কোন মহাকাশ অভিযান সব বিষয়েই তাঁর মতামত দিতেই হবে। তবে এমন তো নয় যে সব ব্যাপারে তিনি যথোপযুক্ত যুক্তি তথ্য এই সমস্ত সম্বলিত বক্তব্য দেন। কিছু সময় তাঁর বক্তব্য নিছকই মনে হয় তাঁর নিজস্ব ঘরের ল্যাবরেটরীতে তৈরি করা এক অন্য জগতের মহা বৈজ্ঞানিক সূত্র ধরে বানানো। যাইহোক তৃণমূলের এদিনের জয় দেখে বেজায় চটেছেন কঙ্গনা। তাই টুইট বাগিয়ে তিনি আবার খেললেন ধর্মের নামে তাস।
কঙ্গনা টুইটারে লিখলেন- ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি… যা ট্রেন্ড দেখছি তাতে বাংলায় আর হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই এবং তথ্য অনুযায়ী গোটা ভারতের অন্য এলাকার তুলনায় বাংলার মুসলিমরা সবচেয়ে গরীব আর বঞ্চিত। ভাল আরেকটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে’।
“Bangladeshi’s and Rohingyas are biggest strength of Mamata…. with the way trend is looking shows Hindus are no more majority there, and according to the data Bangali Muslims are the poorest and most deprived in whole India, good another Kashmir in the making… “
শুধু তাই নয়।এর সঙ্গে গেরুয়া শিবির বঙ্গে কতখানি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে সে ব্যাপারে সাল অনুযায়ী বর্ণনা দেন তিনি।
বলেন, মিরাকেল হয়তো সম্ভব নয় কিন্তু এতগুলো সিট পাওয়া মিরাকেলের থেকে কম কিছু নয়।
“BJP Growth in Bengal : –
2001-0
2006-0
2011-0
2016-3
2021 – 80+
Above all the chief minister lost her own seat. we may have expected miracles but it’s not less than that, the growth is phenomenal for BJP …We need to build from here and earn”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.