কলকাতা: তামিলনাডু বা কেরলে যেমন সরকার গড়া অসম্ভব তেমনই পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির হাল হবে এমনই ইঙ্গিত আসছে। এও মনে করা হচ্ছে তৃণমূল দু’শো বিধানসভা আসনে এগিয়ে থাকায় বিজেপির পক্ষে অপারেশন লোটাস চালানো সম্ভব নয়। এর আগে যে সব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে হারলেও বিরোধীদের বিধায়ক ভাঙানোর খেলার সফল হয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। এখান থেকেই জন্ম নেয় ‘অপারেশন লোটাস’ শব্দ।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে নজির গড়তে চলেছে। অপর শক্তি সংযুক্ত মোর্চা নিশ্চিহ্ন। যেভাবে অপর বাংলাভাষী রাজ্য ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙিয়ে সে রাজ্যে টানা ২৫ বছরের বাম শাসন ভেঙেছিল বিজেপি। সেটি দেশের অন্যতম ঘোড়া কেনাবেচার ঘটনা বলে চিহ্নিত। গোয়া, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ সহ আরও কিছু রাজ্যে এই একই ঘটনা দেখা গিয়েছে বারবার। পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল শিবিরে ধস নামিয়ে নিজেদের দলভারি করে বিজেপি।

বিধানসভা ভোটের গণনা গতি বলছে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে। বিজেপি অনেক পিছিয়ে। দূরত্ব বাড়ছে দ্রুত। অন্তত একশ আসনের ব্যাবধানে থাকায় তৃণমূল বিধায়কদের দল পরিবর্তনের কোনও আশা নেই। বিশ্লেষকদের দাবি, যে সব টিএমসি নেতা বিজেপিতে গিয়েছেন আর যারা জয়ী হবেন তাদের বেশিরভাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চলে আসবেন। এই ঘটনা ঘটবেই বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচনের আগে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপির একগুচ্ছ মু়খ্যমন্ত্রী ও নেতাদের হিন্দি ভাষণের ছয়লাপ হয়েছিল রাজ্য তাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনে ভয় এসেছে সেটাই টিএমসির পক্ষে গিয়েছে। সেই নিরিখে বিরোধী থাকা বামফ্রন্ট তথা সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ ত্যাগ করে টিএমসির প্রতি আস্থা বেড়েছে।

ফলাফলের গতিতে আরও একটি বিষয় উঠে আসতে চলেছে সেটি হলো ঘোড়া কেনাবেচা। যদি লড়াইয়ের এমন গতি থাকে তাহলে সেটি অবস্যম্ভাবী। গত কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর দেদার কংগ্রেস বিধায়করা শিবির পাল্টেছেন। বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস জয়ী হলেও পরে সেখানে বিজেপি সরকার গড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে উল্টো ছবি হতে পারে বলে ইঙ্গিত।

নির্বাচন ফলাফল বিশ্লেষণে এও উঠে আসছে, ঐতিহাসিক বহু ঘটনায় দিল্লির শক্তি যেভাবে বারবার বঙ্গে এসে ধাক্কা খেয়েছে তেমনই ধাক্কা এবারের নির্বাচনে। দিল্লিশ্বরের লাগাতার প্রচার কার্যত ফ্লপ। পদ্ম হাওয়ার যে দোলা গত লোকসভা নির্বাচনে দেখেছিলেন বঙ্গবাসী তা নেই। ফলে জয়ী বিজেপির বহু বিধায়ক ফের পুরনো দল টিএমসিতে ফিরতে মরিয়া।

প্রশ্ন , গদ্দার বলে চিহ্নিত করা সেই সব বিধায়ক সাংসদ, নেতাদের জন্য কী ভাবছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী? হুড়হুড়িয়ে প্রত্যাগমন স্রোত ঠেকানো সম্ভব কতটা? গণনা চলছে। ফলাফলের সর্বশেষ পরিসংখ্যান দেবে এর উত্তর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.