লখনউ: দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। অদৃশ্য মারণ ব্যাধির থাবায় বিপর্যস্ত জনজীবন। হাসপাতালে, হাসপাতলে বেডের আকাল, অক্সিজেনের অপ্রতুলতা চোখের সামনে ফুটিয়ে তুলেছে মহামারীর বিভৎসরুপ। নাওয়া খাওয়া ভুলে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে দিনরাত এককরে কাজ করে চলেছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। এতকিছুর পরেও মিটছে না সমস্যা। প্রাণবায়ুর অভাবে ধুঁকছে গোটা দেশ।
এমন অবস্থায় হাসপাতালের মরণাপন্ন রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহের কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েও পুলিশের হাতে আটক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম ভিকি অগ্রহরি। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করছিলেন। এটি নিসন্দেহে ভালো কাজ হলেও তিনি কোনওরকম কোভিড প্রোটোকল না মেনে অক্সিজেন সরবরাহ করছিলেন বলে অভিযোগ।
তবে ওই ব্যাক্তি কোনওরকম কোভিড বিধি না মেনে শনিবার রাজ্যের জৌনপুর জেলায় হাসপাতালের যারা অক্সিজেন পাচ্ছিলেন না তাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সহায়তা করছিলেন। বলে অভিযোগ এনেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তার বিরুদ্ধে ।
যোগী রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতির মধ্যে ভিকি রোগীদের সাহায্য করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ২৯ এপ্রিল, ভিকি জৌনপুর জেলা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, যে তিনি ২৫ থেকে ৩০ জন রোগীর অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেছেন।
ভিকি অগ্রহরি নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোভিড -১৯ সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮ এবং ২৬৯ ধারায় এবং মহামারী আইন লঙ্ঘনের জন্য ৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৮৬৫ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেক কম হলেও এযাবৎকালের রেকর্ড। আপাতত দেশের মোট অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে দাঁড়াল ৩৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৪৪ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৬ হাজার ৩১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে টিকা পেয়েছেন মোট ১৫ কোটি ৬৮ লক্ষ ১৬ হাজার ৩১ জন।
তবে করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা পাঁচটি রাজ্যের। যেগুলি হল মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি। মহারাষ্ট্রে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৬৩,২৮২ জন কর্ণাটকে ৪০,৯৯০ জন, কেরলে ৩৫,৬৩৬ জন, উত্তরপ্রদেশে ৩০, ১৮০ জন এবং রাজধানী দিল্লিতে মোট করোনা আক্রান্ত ২৫,২১৯ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.