মুকুল জিতলেও ছেলে শুভ্রাংশুকে হারতে হল বীজপুরে! বিজেপির টিকিটে জয় অধরা

মুকুল রায় ২০ বছর ভোটে না দাঁড়ালেও পুত্র শুভ্রাংশু তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। বাবার দলত্যাগের পর ছেলে শুভ্রাংশুও গিয়েছিলেন বিজেপিতে। মুকুল রায়ের সৌজন্যে বিজেপির টিকিট মিললেও শুভ্রাংশু কাঙ্খিত জয় পেলেন না। তবে মুকুল রায় জিতলেন ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নেমে।

নিজে জিতলেও তিনি ছেলেকে জেতাতে পারেননি

শুভ্রাংশুকে জেতানোর জন্য কম কসরত করেননি মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী হয়েছেন নিজে। সেখানে তাঁকে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হয়েছে। আবার তিনি ছেলেখে শেষ মুহূর্তের টিপস দিতে ছুটে এসেছিলেন বীজপুরে। তারপর ভোট দিয়ে ফের নিজের কেন্দ্রে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজে জিতলেও তিনি ছেলেকে জেতাতে পারেননি।

জিতলেও আক্ষেপ রয়েই গেছে মুকুলের

মুকুল নিজে ভোট না জিতে অপরকে জেতাতেই বেশি পটু ছিলেন। ২০ বছর পর পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হয়ে তিনি ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বাংলার রাজনীতির চাণক্য ২০২১-এর ভোটে দাঁড়িয়ে নিজের প্রথম জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। ছেলে শুভ্রাংশুকে জেতাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। কিন্তু নিজে জিতলেও ছেলেকে জেতাতে না পেরে আক্ষেপ রয়েই গেছে মুকুলের।

২০০১ সালের ভোটে হারের পর জিতলেন ২০২১-এ

তবে যাই হোক এই প্রথম নিজের জয়ে আনন্দ উপভোগ করবেন মুকুল রায়। ২০০১ সালের ভোটে হারের পর আর ভোটে দাঁড়ানোর নাম করেননি তিনি। এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে আবারও প্রার্থী হয়েছিলেন। তাও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপেই তিনি প্রার্থী হন। এবার তিনি জিতলেন।

বাবার ছত্রছায়া থেকে বেরনো হল না শুভ্রাংশুর

অন্যদিকে বাবা দল ছাড়লেও দীর্ঘদিন পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে ছিলেন শুভ্রাংশু রায়। পিসিকেই রাজনৈতিক আদর্শ মেনেছিলেন তিনি। কিন্তু তৃণমূলে একঘরে হয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও বাবার ছত্রছায়া থেকে বেরনো হল না শুভ্রাংশুর। তিনি রাজনৈতিক সাবালক হতে পারলেন না। সুবোধ অধিকারীর কাছে হার মানলেন তিনি।