বাংলার গণ রায়
সিপিআইএমএল বলছে, এই রায় বিজেপির ক্ষমতা দখলের আগ্রাসী আস্ফালনের বিরুদ্ধে বাংলার গণ রায়। তাদের অভিযোগ গণহত্যা করে, ভয় দেখিয়ে, দলবদল করিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্তকে বাংলা রুখে দিয়েছে। এই রায় সংকীর্ণতা ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে বাংলার উদার ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বলিষ্ঠ প্রত্যুত্তর।
বাংলার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন
বাংলার ঐতিহ্যের সমর্থনে এই রায়ের জন্য বাংলার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সিপিআইএমএল বলেছে, একুশের ডাক ও নো ভোট টু বিজেপি অভিযানে সাড়া দিয়ে বাংলার ছাত্র-যুব সমাজ ও গণ আন্দোলনের কর্মীবাহিনী রাজ্য জুড়ে মানুষের কাছে গণতন্ত্রের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
কংগ্রেস-বামফ্রন্টের কাছে আবেদন
রাজ্যের বামকর্মীদের কাছে সিপিআইএমএল-এর আবেদন, এই রায়কে গণতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ হিসেবে দেখতে হবেয পাশাপাশি বাংলার কংগ্রেস-বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে এই ফলাফলের ওপরে দাঁড়িয়ে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি তৃণমূলও জনগণের আকাঙ্খা এবং গণতন্ত্রের পরিবেশকে সম্মান জানিয়ে চলবে।
অতিমারিকে পরাজিত করা বড় কাজ
সিপিআইএমএল-এর তরফে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের মানুষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হল অতিমারিকে পরাজিত করা। কোভিড আক্রান্ত মানুষের জীবন বাঁচানো ও সেবা করা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দীর্ঘ নির্বাচনী প্রক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষভাবে বিপন্ন করে তুলেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে এই বামদলের পক্ষ থেকে।