কলকাতা: পিছিয়ে সেলিম, অশোক ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি পিছিয়ে বামফ্রন্টের। অরূপ বিশ্বাস এগিয়ে সাড়ে আট হাজার ভোটে। স্বর্নকমল সাহা প্রায় ৬ হাজার ভোটে এগিয়ে। শিতলকুচিতে এগিয়ে তৃণমূল, এগিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম , মদন মিত্র এগিয়ে। এগিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ চক্রবর্তী এগিয়ে প্রায় দুই হাজার ভোটে। এগিয়ে নিশীথ প্রামানিক। এগিয়ে জুন মালিয়াও। এগিয়ে নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
রবিবার সাত সকালেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের গণনা। সকাল ৭টায় খুলেছে পোস্টাল ব্যালট। ৭.৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হয়েছে ইভিএমের গণনা।
আজ রবিবার, ২ মে রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯২টি আসনের ভোট গণনা হবে। দুই কেন্দ্রের প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাই ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গণনা হচ্ছে না। এই করোনার জন্য এবার প্রচুর বিধি নিষেধ রয়েছে। আগে ইভিএম স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে প্রার্থী ও যারা ভোট গণনা করছেন তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। তারপর তাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে। ২৩টি
জেলায় তৈরি করা হয়েছে ১০৮টি ভোট গণনা কেন্দ্র।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ের দিকে সবথেকে বেশি নজর থাকছে। তবে আরও অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরাও থাকছেন যারা আজ তাদের লড়াইয়ের ফল আজ জানবেন। তালিকায় গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম , মদন মিত্র যেমন রয়েছেন তেমনই রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামানিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মতো প্রার্থীরা। বামেদের মধ্যে দেবদূত ঘোষ, ঐশী ঘোষ, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, মহাম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষের মতো প্রার্থীরা। তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে ন রাজ চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, অশোক দিন্দা, মনোজ তিওয়ারিরা। সবাই অপেক্ষা করবেন নূন্যতম ১৭ রাউন্ড ঘোষণার দিকে। কারণ গণনা হতে পারে সর্বনিম্ন ১৭ রাউন্ডে এবং সর্বোচ্চ ৩০ রাউন্ডে।
এখন সমস্ত প্রার্থীদের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল বেরোবার অপেক্ষায় রয়েছেন। একটি গণনার ঘরে সাধারণত ১৪টি টেবিল থাকে। ১৪টি ইভিএমের গণনা হয়ে গেলে তাকে এক রাউন্ড গণনা বলা হয়। এই বছর এতে কিছু তাতে পরিবর্তনও হতে পারে। ১৪’র কমও ইভিএম গণনা হতে পারে। কারন করোনা। দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে। তাই কাউন্টিং হল ও টেবিলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই রাউন্ডের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে। তাই চূড়ান্ত ফলাফলে দেরী হতে পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.