কলকাতা : গণনা শুরুর আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ও তাদের গণনা এজেন্টরা নানান অভিযোগ করছেন। সকাল থেকেই প্রার্থী দেড় আমরা দেখতে পেয়েছি গণনা কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে। ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সকালেই অভিযোগ করেছেন, “সকাল সাড়ে ছ’টায় স্ট্রং রুম খোলার কথা ছিল। আমি ও আমার এজেন্ট কেউ গণনা কেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই রিটার্নিং অফিসার স্ট্রং রুমের দরজা খুলে দেয়। জানিনা তিনি আমাদের জন্য পেক্ষা না করে কেন এই কাজ করলেন। আমরা নির্বাচন কমিশনে পুরোটা জানিয়েছি।”

এদিকে হেস্টিংসের গণনা কেন্দ্রে সকাল সকালই পৌঁছে যান। তিনি বলেন, “আমি হেস্টিংস হাউস গণনা কেন্দ্রে পৌঁছলে আমায় ঘিরে তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দিয়ে শুরু করে। আমি জানিনা ইটা করা যায় কি না? তবে আমার বক্তব্য আমি জিতছি। অরূপ বিশ্বাস পরাজিত হচ্ছেন। আমি প্রচারে এসে টালিগঞ্জে দেখেছি বস্তিগুলোর কী খারাপ অবস্থা। এখানে শুধু সিন্ডিকেটে, তোলাবাজি করা হয়েছে। মানুষের পাশে তৃণমূল ছিল না। সেটা এলাকার মানুষ বলছে। তাই আমি বলছি আমার জয় নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।”

এদিকে সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আসছে। পানিহাটি থেকে অভিযোগ এসেছে ওই গণনা কেন্দ্রের এক কংগ্রেস কাউন্টিং এজেন্ট গরমে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কংগ্রেস ও অন্যান্য দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে সকাল থেকে গণনা কেন্দ্রে কোনও সুষ্ঠূ ব্যবস্থা নেই। প্রচন্ড গরম কাউন্টিং সেন্টারের মধ্যে। তার ফলেও হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেসের কাউন্টিং এজেন্ট।

সকালে বালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তাকে কাউন্টিং সেন্টারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অথচ অন্যান্য দলের এজেন্টরা কাউন্টিং সেন্টারে প্রবেশ করেছেন। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, উপযুক্ত পরিচয়পত্র থাকার পরও কোনওভাবেই বিজেপি কাউন্টিং ও প্রার্থীকে কাউন্টিং সেন্টারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এই আবহেই আজ ঠিক হয়ে যাবে রাজ্যের নির্বাচনী যুদ্ধের লড়াইয়ে কে জিতবেন কে হারবেন সেটা নির্ধারিত হয়ে যাবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.