কলকাতা: ফুলের ফল প্রকাশ হলো আজ। নির্ভুল ফুল বিচারে বাংলার জনগণের রায় ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। অতঃপর সবুজ শিবিরে জয়ের বাদ্যি।

নিঃসন্দেহে ভারতবর্ষের রাজনীতিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতন নাটকীয় প্রচার থেকে আচার-বিচার এর আগে হয়নি। ভোল পাল্টে ফুল বদল, রং পাল্টে রূপ বদল সব মিলিয়ে এইবারের পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কোন যাত্রার থেকে কম ছিল না। তারকাখচিত সবুজ গেরুয়া শিবির। কিন্তু এত কিছু করার পরেও শেষ হাসি হাসলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভোটের আগেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ শিল্পীদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি নাকি প্রতিবাদী শিল্পীদের রগড়ে দিতে জানেন। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করেনি আরেক অভিনেত্রী তথা বিজেপিতে যোগ দেওয়া রূপাঞ্জনা মিত্র। এবার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে তার পরেই।

তবে এ ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? প্রতিবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শকে নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে একটি গান তৈরি করেন নির্দল তারকারা। যারা এই গানটিতে কোনরকম রাজনীতির সমর্থনে রং লাগতে দেননি। এই গানটি নিয়ে একটি বিশেষ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, শিল্পীরা অভিনয় করুক ঠিক আছে কিন্তু এই ধরনের আচরণ করলে তিনি সেই সমস্ত শিল্পীদের রগড়ে দেবেন। আজ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিচারে বিজেপি প্রায় সাফ। আর তারপরেই পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় টুইট করে লেখেন,’ আজ বিশ্ব রগড়ানি দিবস ঘোষিত হোক !’। স্বস্তিকা মুখার্জি লেখেন,’সবাই আমার থেকে শুনে নাও মেয়েরা পরের বাড়ির সম্পত্তি নয়’।

‘Sunlo Sunlo jaan lo humse ab…
Beti paraya dhan nahin hoti hain !!’

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন লিখেছেন,’ এই জয় গণতন্ত্রের জয়। আমি আজ একজন মহিলা হিসেবে গর্বিত। মমতা ব্যানার্জিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা তাঁর এই জয়ের জন্য। একজন মহিলা হয়ে সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে জেতা যায় তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন।’
অভিনেতা এবং তৃণমূল সাংসদ দেব মমতা ব্যানার্জিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন,’ এই দৃঢ়তা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.