আমদাবাদ: অধিনায়ক কেএল রাহুল অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ায় ধাক্কা কিছুটা ছিলোই। স্টপ-গ্যাপ অধিনায়ক ময়াঙ্ক আগরওয়াল অধিনায়কোচিত ইনিংসে দিয়েই সেই অভাব পূরণের চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু পারলেন না। রাহুলহীন পঞ্জাব কিংসকে আইপিএলে ডাবল-হেডারের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালস হেলায় হারাল। ময়াঙ্কের ব্যাটে পঞ্জাবের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল্লি ছুঁয়ে ফেলল ১৪ বল বাকি থাকতে।

আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে এদিন পঞ্জাবকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। আরসিবি’র বিরুদ্ধে জয় পাওয়া ম্যাচে সামান্য চোটের কারণে দলে ছিলেন না ময়াঙ্ক। অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত রাহুলের পরিবর্তে এদিন একাদশে ফিরে অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব পালন করেন রাহুলের রাজ্য দলের সতীর্থ। এছাড়া ডাহা ফেল নিকোলাস পুরানের পরিবর্তে অবশেষে সুযোগ মেলে মারকুটে ইংরেজ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানের। পঞ্জাবের হয়ে এটিই তাঁর অভিষেক ম্যাচ।

রাহুল না থাকায় বাড়তি দায়িত্ব নিতেই হত ময়াঙ্ককে। সেটা তিনি নিলেন পুরোপুরি। কিন্তু ব্যর্থ গেইল, হুডা, শাহরুখরা। ওপেনার প্রভশিমরণ ফিরলেন ১২ রানে, গেইল করলেন ১৩ রান। হুডার সংগ্রহ মাত্র ১ রান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা মালানের সঙ্গে ৫২ রানের একটা মূল্যবান জুটি তৈরি হয় ময়াঙ্কের। মালান ২৬ বলে ২৬ করে ফিরলেও ইনিংসের ব্যাটন ছিল অধিনায়ক ময়াঙ্কের হাতে। শাহরুক, জর্ডানরা কেউই এদিন ময়াঙ্কের ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি। তাইতো বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেও শতরান থেকে মাত্র এক রান দূরে থেমে যেতে হয় পঞ্জাব অধিনায়ককে। ৮টি চার এবং ৪টি ছয়ে ৫৮ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন দক্ষিণী ব্যাটসম্যান।

অধিনায়কের ইনিংসেই দিল্লিকে ১৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় পঞ্জাব। দিল্লির সবচেয়ে সফল বোলার রাবাদা ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ান চলতি মরশুমে যে ফর্মে বিরাজ করছেন তাতে পঞ্জাবের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা খুব একটা কঠিন ছিল না দিল্লির কাছে। ফের দুই ওপেনার একটা দুর্দান্ত শুরু দেওয়ায় ম্যাচটা সহজ হয়ে যায় পন্তের দলের কাছে। পাওয়ার-প্লে’তে দুই ওপেনার তোলেন ৬৩ রান। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন পৃথ্বী। ২২ বলে তাঁর সংগ্রহে ৩৯ রান। এরপর ধাওয়ানের সঙ্গে স্মিথের দ্বিতীয় উইকেটে যোগ হয় ৪৮ রান।

স্মিথের ইনিংস ২৪ রানের বেশি লম্বা না হলেও ধাওয়ানের চওড়া ব্যাট ক্রমেই ভরসা জোগাতে থাকে দিল্লিকে। এরপর অধিনায়ক পন্তকে নিয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যান ধাওয়ান। কিন্তু পন্ত আউট হয়ে যান জয়ের কিছু আগেই। যদিও তাতে আটকায়নি দিল্লির জয়। ধাওয়ানের ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৯ রান শুধু জয় নয় বরং বলা যায় ‘সহজ জয়’ এনে দেয় দিল্লিকে। ‘গব্বরে’র ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ২টি ছয়। সিনিয়র ব্যাটসম্যান হিসেবে ধাওয়ানের এই ইনিংস দৃষ্টান্ত। ৪ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন হেটমেয়ার।

১৪ বল বাকি তিন উইকেট হারিয়েই থাকতেই লক্ষ্যমাত্রা হাসিল করে নেন ধাওয়ানরা। গত ম্যাচের মতো ব্রার-বিষ্ণোই’দের ঘূর্ণি এদিন কাজে আসেনি। যদিও পৃথ্বীকে আউট করে প্রাথমিক আঘাতটা এনেছিলেন ব্রারই।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.