অক্সিজেনের অভাবে ঝুঁকিতে সদ্যোজাত সহ ৫০ রোগী, সাহায্যের আর্তি দিল্লির দুই হাসপাতালের

জাতীয় রাজধানীতে করোনা ভাইরাস কেসের বৃদ্ধির পাশাপাশি একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেন, বেডের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দিল্লির কমপক্ষে দু’‌টি হাসপাতাল রবিবার কোনও উপায় না দেখে এসওএস ফোন করে কর্তৃপক্ষকে তাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি ভরে দেওয়ার কাতর আর্জি জানিয়েছেন, কারণ জীবনদায়ী গ্যাস সহ এ ধরনের ছোট ছোট অবদান করোনা ভাইরাস সহ অন্যান্য কেসে সহায়তা করে।

করোনার প্রকোপ বাড়ছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে! ভয় ধরাচ্ছে কেরল-তেলেঙ্গানা-অন্ধ্র

ট্রিটন হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি

কালকাজির ট্রিটন হাসপাতালের ডাঃ দীপালি গুপ্তা জানান তাঁরা তাঁদের নিওনাটাল আইসিইউয়ের জন্য অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করা নিয়ে লড়াই করছেন। তিনি বলেন, ‘‌আমাদের কাছে এক সপ্তাহের বেশিদিন ধরে অক্সিজেন নেই। যদি অক্সিজেনের অনবরত সরবরাহ নিশ্চিত না করা হয় তবে বড় ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।'‌ আপ নেতা চাড্ডা জানিয়েছেন যে সরকার রাজঘাট রেসপন্স পয়েন্ট থেকে পাঁচটি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসে তা যেন সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তিনি টুইটে বলেন, ‘‌আন্তরিকভাবে আশা করি যে এই লড়াইয়ের জন্য হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহের চেইনগুলি দ্রুত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।'‌

দিল্লি পেয়েছে বরাদ্দ অক্সিজেনের কম

শনিবার দক্ষিণ দিল্লির বাত্রা হাসপাতালে এক চিকিৎসক সহ ১২ জন কোভিড রোগী মারা যান। রোগীরা প্রায় ৮০ মিনিট ধরে অক্সিজেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এর ঠিক কিছুদিন আগেই জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে ২০ জন ও গঙ্গা রাম হাসপাতালে ২৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির একাধিক হাসপাতালে তীব্রভাবে অক্সিজেনের চাহিদা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা ভাইরাস কেসের সংখ্যাও। ৪৯০ এমটি অক্সিজেনের পরিবর্তে দিল্লি সরকার কেন্দ্রের কাছে ৯৭৬ এমটি অক্সিজেনের দাবি জানিয়েছে। যদিও শুক্রবার শহরের প্রশাসন মাত্র ৩১২ এমটি অক্সিজেন পেয়েছে।