শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : এখনও জনমত ইভিএম-বন্দি। তবে ধীৰে ধীরে খুলছে কোন কেন্দ্রে কে জয়ী হতে চলেছেন তার ট্রেন্ড। পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামে এবারের তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তাঁরই এক সময়ের সহযোদ্ধা, তৃণমূলের তিনটি দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্তমান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এই কেন্দ্রে কে জিতবেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে টানটান উত্তেজনা। পশ্চিমমবঙ্গে ৮ দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে ২৯ এপ্রিল। এবার শুরু হয়েছে গণনার পালা। তবে এক্সিট পোলে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোড়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই খবর লেখার সময় প্রথম রাউন্ডে শুভেন্দু ১৪৯৭ ভোট এগিয়ে আছেন । পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি রবিবার সকাল থেকেই ভোট গণনা শুরু হয়েছে আরও তিন রাজ্য, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরিরতে ।
২০১৬ সালে ১২৬ আসনের অসম বিধানসভায় ৬০টিতে জিতেছিল বিজেপি। দুই সহযোগী দল অসম গণ পরিষদ (অগপ) এবং বিপিএফ জিতেছিল ১৪ এবং ১২টিতে। আলাদা লড়ে কংগ্রেস ২৬ এবং এআইইউডিএফ ১৩টিতে জেতে। এ বার এআইইউডিএফ এবং বিপিএফের পাশাপাশি সিপিআই (এমএল লিবারেশন)-সহ তিন বাম দল, আরজেডি-র সঙ্গে সমঝোতা করেছে কংগ্রেস। এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নেতা অজিত ভুঁইয়ার দল আঞ্চলিক গণ মোর্চাও এই জোটে সামিল।
অন্য দিকে, বিপিএফের বদলে কংগ্রেসের প্রাক্তন সহযোগী বড়ো জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল ইউপিপিএল-এর সঙ্গে এ বার জোট গড়েছে বিজেপি। অগপ-ও ফের পদ্ম শিবিরের সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, বিধানসভা ভোটে কড়া লড়াইয়ের পরে শেষে অসমে ক্ষমতায় ফিরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও এগিয়ে রাখা হয়েছে বিজেপি-জোটকে। তবে নিম্ন অসম, বড়ো স্বশাসিত অঞ্চল এবং বরাক উপত্যকায় বিজেপি-কে বিপাকে ফেলতে পারে জোট। ছাত্র সংগঠন ‘আসু’র প্রাক্তন নেতাদের গড়া দল অসম জাতীয় পরিষদ এবং সমাজকর্মী অতুল গগৈয়ের রাইজর দল উজান অসমের কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপি-কে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
এছাড়াও আমাদের নজরে রয়েছে কেরল সেখানে আবার ক্ষমতায় পিনারাই বিজয়ন সরকার গড়তে চলেছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান। তবে রবিবার ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, পিনারাই বিজয়ন , এম কে স্টালিন , রিপুন বোরা , এন রঙ্গস্বামী, সর্বানন্দ সোনোয়াল ,ই কে পালানিস্বামীর । তবে চূড়ান্ত ফল জানার জন্য আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.